কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামের জনজীবন

ঠান্ডায় উত্তরের দুই জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম কষ্টে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টানা গ্রাম থেকে আজ সকালে তোলা ছবি। ছবি: এস দিলীপ রায়/ স্টার

কনকনে ঠান্ডা আর সাথে হিমেল বাতাসের দাপটে থমকে দাঁড়িয়েছে উত্তরের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। নিদারুন কষ্টে রয়েছেন ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, গঙ্গাধর, তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী, চরাঞ্চল ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত অঞ্চল লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় গত কয়েকদিন ধরেই শীত পড়ছে। ঠাণ্ডার কবল থেকে বাঁচতে খড়কুটোয় আগুন দিয়ে একটু স্বস্তি খুঁজছেন অনেকে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের ৬৪ বছর বয়সী কৃষি শ্রমিক গোপাল চন্দ্র বর্মণ ডেইলি স্টারকে বলেন, ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে রাত ও সকালের দিকে তাদের চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় না থাকায় রাতে ও সকালে বাড়িতে খড়কুটোয় আগুন ধরিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় চর মনতলার দিনমজুর সেকেন্দার আলী (৫৫) বলেন, শীত আসলেই আমাদের কষ্ট বাড়ে। ঠাণ্ডার কারণে সকালে বাইরে বেরোতে পারি না। শীতের কাপড় নাই তাই আগুনের তাপই সম্বল।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিশবাড়ী গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলাম (৪৫) বলেন, কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে ফসলের মাঠে কাজ করলেও মাঠে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। ঠান্ডা খুব কষ্ট দেয়। ঘরের বাইরে না বেরোলো খাবার জুটবে না তাই এই শীতেও বাইরে যেতে হয়।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সকাল ৯টায় লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর কুড়িগ্রামে রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত থেকেই চারদিক কুয়াশায় ঢাকা থাকছে এবং দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানায়, লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় সরকারিভাবে এক হাজার কম্বল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় ১ হাজার ৮০০টি কম্বল ও নগদ ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আরও কম্বলের চাহিদা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Will protect investments of new entrepreneurs: Yunus

Yunus held a meeting with young entrepreneurs at the state guest house Jamuna where15 male and female entrepreneurs participated

5h ago