কুষ্টিয়ায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে জুতাপেটা, ২ নারী গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া শহরে কর্তব্যরত অবস্থায় এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে চড়থাপ্পড় ও জুতা দিয়ে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ আজ সোমবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন—শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহানা ইসলাম (৪৪) ও হাউসিং বি ব্লকের বাসিন্দা রিপন হোসেনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার শান্তা (৩৯)।

এদিন সকালে কুষ্টিয়া শহরে কোর্টস্টেশন রেলগেট এলাকায় তারা কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন। সেই সিসি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র জানায়, বিকেলে ওই পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। এজাহারে ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পরিচয় শনাক্ত করার পর তাদের আটক করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী জুতা হাতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যকে মারধর করছেন। মারধরে তার সঙ্গে যোগ দেন আরেক নারী। মারধর করে ওই দুই নারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশকে মারধরের সময় ওই নারী মুখে কোনো কথা বলেননি। ফলে বোঝা যায়নি ঠিক কী কারণে মারধর করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, 'একজন মুরব্বি (বয়োজ্যেষ্ঠ) ট্রাফিক সদস্য ডিউটি করছিলেন। ট্রেন চলে আসায় লেভেল ক্রসিংয়ের বার নামিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় একজন নারী রেলপথ পার হওয়ার চেষ্টা করলে ওই পুলিশ সদস্য বাধা দেন। প্রথমে ওই নারী অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে আরেক নারীকে সঙ্গে নিয়ে এসে পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন।'

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওই নারী একহাতে জুতা দিয়ে পেটাচ্ছেন এবং অন্য হাতে ভিডিও করছেন।

শান্তার স্বামী রিপন জানান, সন্ধ্যায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা প্রথমে তাকে দোকান থেকে তুলে নেন। পরে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Titumir college: Govt will not take any hasty decision

Education adviser says declaring a college as university is not logical demand

16m ago