কামরুল, ফারুক, ইনু ও মেননকে ৪ মামলায় গ্রেপ্তার দেখালেন আদালত

১২ বারের মতো পেছাল শাহিন উদ্দিন হত্যা মামলার প্রতিবেদন জমার তারিখ
স্টার ফাইল ফটো

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হকসহ আরও দুইজনকে ঢাকার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা পৃথক চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এসব মামলায় আসামির তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন—পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান।

২০২০ ও ২০২৩ সালে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ঢাকা মহানগর হাকিম সেফাত উল্লাহ এ আদেশ দেন।

কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি করা হয় চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কামরুলের নির্দেশে পলাতক অন্য আসামিরা ২০২০ সালের ২ জুন আলী কেবল নেটওয়ার্কের অফিসে ঢুকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেন।

গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর দায়ের করা আরেক মামলার আভিযোগে বলা হয়, কামরুলের নির্দেশে অভিযুক্তরা বাদীর ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।

এদিকে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল ফকিরাপুল মোড়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফারুক খান, মেনন ও ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

একই আদালতে সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আল মামুন আসামিদের আদালতে হাজির করলে আদালত এ আদেশ দেন।

হামলার ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট মতিঝিল থানা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার ইমাম বাদী হয়ে ফারুক খান, মেনন, ইনু, জায়েদ খান, শাহরিয়ার নাজিম জয়, সাজু খাদেমসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এছাড়া গত ৫ আগস্ট চকবাজারের কাজল প্লাস্টিক কারখানার কর্মচারী রাকিব হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মামুন ও মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে চাঁনখারপুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব হাওলাদার (১৬)। পরে তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হাজী মোহাম্মদ সেলিমসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

Comments