ভোটার তালিকা হালনাগাদ: বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু মার্চে

নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রথম বৈঠক। ছবি: ইসির সৌজন্যে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে আগামী বছরের মার্চ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ সোমবার নতুন ইসির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন। 

তারা জানান, তথ্য সংগ্রহের পর ২০২৬ সালের ২ মার্চের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

আইন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের খসড়া ভোটার তালিকা ১ জানুয়ারি এবং হালনাগাদ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২ মার্চ প্রকাশ করার হবে।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ সব কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, 'নতুন ভোটার হিসেবে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য ইসির কাছে আছে। আগামী ১ জানুয়ারি তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে।'

এই ১৭ লাখের মধ্যে ইসি ২০২২ সালে ১৩ লাখের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। বাকিরা নিজেরাই ইসি অফিসে গিয়ে নিবন্ধন করেছেন।

নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, 'তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী আরও প্রায় ৪৫ লাখ নাগরিক নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মানে এখনো প্রায় ২৭-২৮ লাখ নাগরিক ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত নন।'

এ কারণে ২০২৬ সালে কারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন, তার তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহসহ পুরো কার্যক্রম শেষ করতে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। ঠিক কবে তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে সচিবালয় থেকে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।'

'তবে ইসি মনে করছে ২ মার্চের পর এ কাজ শুরু করতে পারবে,' যোগ করেন তিনি।

গত ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন ইসি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago