জ্যামাইকায় যে বিব্রতকর রেকর্ডে নাম উঠল মুমিনুলের

Mominul Hoque
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অ্যান্টিগা টেস্টেও কেমার রোচের বলে ভীষণ ধুঁকে আউট হয়েছিলেন মুমিনুল হক, জ্যামাইকাতে এসেও একই পরিণতি। এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাঁহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার। শূন্য রানে আউট হয়ে বিব্রতকর এক রেকর্ডেই নিজের নাম উঠিয়ে ফেলেছেন তিনি।

শনিবার শুরু হওয়া জ্যামাইকটা টেস্টে প্রথম দিনে প্রতিকূল আবহাওয়ায় খেলা হয় স্রেফ ৩০ ওভার। টস জিতে ব্যাটিং বেছে ১০ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরমধ্যে কোন রান না করেই ফেরেন মুমিনুল। টেস্টে এই নিয়ে ১৭তম বার শূন্য রানে ফিরলেন তিনি। যা বাংলাদেশের কোন ব্যাটারের রেকর্ড।

মুমিনুল এই বিব্রতকর রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে। ১১৯ টেস্ট ইনিংসে ১৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন আশরাফুল। এতদিন তার সঙ্গে যৌথ অবস্থায় ছিলেন মুমিনুল। ১২৮ টেস্ট ইনিংসে আশরাফুলকে পেছনে ফেলে শূন্য রানে বেশিবার আউটে একক রেকর্ড হয়ে যায় মুমিনুলের।

এই দুজনের পর ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়ে মুশফিকুর রহিম তিনে। স্বাভাবিকভাবে তিনি বাংলাদেশের সবচয়ে বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটার। মুশফিকের সঙ্গে ১৩ বার করে শূন্য থাকা বাকি দুজন বোলার-তাইজুল ইসলাম ও  সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

১২ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড মাশরাফি বিন মর্তুজার। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও খালেদ মাসুদ এই দুর্দশায় পড়েছেন ১১বার করে। মুমিনুলের অবশ্য বাংলাদেশের হয়ে বিপরীত ধর্মী গর্বের রেকর্ডও আছে। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩ সেঞ্চুরির মালিক তিনি। 

টেস্টে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউটের রেকর্ড অবশ্য অনেক দূরে। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ ৪৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। তিনি একজন বোলার হওয়ায় তা বোধগম্যও।

মুমিনুলের বিদায়ের পর অবশ্য সাদমান ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন দিপু মিলে পার করেছেন দিন। (২ উইকেটে ৬৯)। দুজনেই অবশ্য জীবন পেয়েছেন ক্যারিবিয়ান ফিল্ডারদের ব্যর্থতায়।

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

8h ago