ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডিজেল পাইপলাইন

প্রতীকী ছবি

আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল পরিবহন শুরু হবে। এর মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহনে নতুন একটি মাইলফলক স্পর্শ করবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, বন্দরনগরীর পতেঙ্গা থেকে রাজধানীর উপকণ্ঠে ফতুল্লা পর্যন্ত প্রথম ভূগর্ভস্থ এই পাইপলাইন চালু হলে প্রতি বছর জ্বালানি পরিবহনে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে রেল ও সড়ক ও নৌপথে দেশের অন্যান্য স্থানে ডিজেল পরিবহন করা হয়। পরিবহনের সময় প্রায়ই তেল চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা সংকটের কারণে জ্বালানি পরিবহনে সমস্যা দেখা দেয়। এতে প্রায়ই জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

বিপিসির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এতে খরচ হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেনের মতে, ইতিমধ্যে পাইপলাইনে হাইড্রো টেস্ট করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাইপলাইনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সফলভাবে পানি পাঠানো হয়েছে।

পাইপলাইনে নয়টি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে এবং এখন স্টেশনগুলোর সরঞ্জাম পরীক্ষা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, 'আশা করছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা পাইপলাইনটি চালু করতে পারব।'

এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে ২ দশমিক ৭ থেকে ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন ডিজেল পরিবহন করা যাবে। ধাপে ধাপে এর সক্ষমতা পাঁচ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত করা যেতে পারে।

বিপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারা দেশে নৌপথে ৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন জ্বালানি পরিবহন করা হয়েছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল পরিবহন করা হয়েছে। বর্তমানে এ রুটে প্রতি মাসে ১১০টি জাহাজ জ্বালানি পরিবহন করে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পাইপলাইনের দুটি অংশ রয়েছে: একটি ২৪১ দশমিক ২৮ কিলোমিটার ১৬-ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। এটি পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর এবং মুন্সীগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত তেল পৌছাবে। অন্য অংশটি ৮ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই অংশে ১০-ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন দিয়ে গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত তেল পরিবহন করা হবে।

পতেঙ্গা থেকে গোদনাইল পর্যন্ত ২২টি নদী ও খালের তলা দিয়ে এই পাইপলাইন গেছে।

(সংক্ষেপিত, বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে)

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

6h ago