কারা হেফাজতে আওয়ামী লীগ নেতা ঝুনুর মৃত্যু

গত ১৬ দিনে কারা হেফাজতে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা মারা গেছেন
শাহাদত আলম ঝুনু | ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু কারা হেফাজতে মারা গেছেন।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে গত ১৬ দিনে বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগের অন্তত তিনজন নেতা মারা গেলেন।

একটি হত্যা মামলা, ভাঙচুর এবং বিস্ফোরক মামলায় গত ২৪ আগস্ট ঝুনু গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

বগুড়ার জেল সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, সবগুলো মামলাই জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দায়ের হয়েছিল।

তিনি বলেন, 'আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কারা হাসপাতালে ঝুনু হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে সিরাজগঞ্জ পৌঁছানোর পরে পথে তার মৃত্যু হয়।'

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুল লতিফ কারাগারে মারা যান। ২৩ নভেম্বর তিনি অসুস্থ বোধ করলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে শজিমেক হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ নভেম্বর সকালে তিনি মারা যান, জানান জেল সুপার।

বগুড়া কারাগারে গত ১১ নভেম্বর মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম। তিনি বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

কারা হেফাজতে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে চাইলে ফারুক বলেন, 'তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এখানে এসেছিলেন। কারা হাসপাতালে আমরা তাদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, 'গত দুই সপ্তাহে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু খুবই রহস্যজনক।'

এই মৃত্যুর জন্য বগুড়া কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus condemns lawyer’s murder in Chattogram

Keep calm, refrain from violence

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday condemned the murder of a lawyer in the port city of Chattogram.

6h ago