প্রথম দিনে লুই-আথানেজকে সেঞ্চুরির আগে ফেরানোর স্বস্তি বাংলাদেশের
ভিন্ন ঢঙে খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন মিকাইল লুই ও আলিক আথানেজ। কিন্তু দুজনকেই কাটা পড়তে হলো নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে। ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে লম্বা সময় ক্রিজে থাকা লুইকে ফেরালেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের গতি বাড়ানো আথানেজকে বিদায় করলেন তাইজুল ইসলাম। মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভেঙে স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ।
শুক্রবার অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের বেশিরভাগ সময় ক্যারিবিয়ানরা দেখিয়েছে দাপট। ৮৪ ওভারে তারা তুলেছে ২৫০ রান। বাংলাদেশকেও একেবারে পিছিয়ে রাখা যাবে না। তারা শিকার করতে পেরেছে ৫ উইকেট। ক্রিজে অপরাজিত আছেন জাস্টিন গ্রিভস ২৬ বলে ১১ ও জশুয়া ডা সিলভা ২১ বলে ১৪ রানে।
একপ্রান্ত আগলে রাখা লুইস সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়ে ৯৭ রানে আউট হন। তিনি ২১৮ বল মোকাবিলায় মারেন নয় চার ও এক ছক্কা। ৯০ রানে একবার তাকে জীবন দেন মিরাজ। তাইজুলের ডেলিভারিতে স্লিপে বলে হাত ছোঁয়ালেও মুঠোয় জমাতে পারেননি। সেই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজই পরে থামান খুঁটি গেঁড়ে বসা লুইকে। জীবন পেয়ে খোলসবন্দি হয়ে যান ডানহাতি ওপেনার। এরপর ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছক্কা মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছানোর তাগিদে বিপদ ডেকে আনেন। এই দফায় স্লিপে কোনো ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু।
২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি ভাঙার পর সঙ্গী হারিয়ে আথানেজও টেকেননি। দলের খাতায় আর ৪ রান যোগ হতেই ধরেন সাজঘরের পথ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলকে প্যাডল সুইপ করার চেষ্টায় বল উঠে যায় ওপরে। অনায়াসে ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। দশ চার ও এক ছক্কায় বাঁহাতি ব্যাটার আথানেজ ১৩০ বলে করেন ৯০ রান। টেস্টে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হলেন তিনি।
দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন গ্রিভস ও ডা সিলভা। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হয় ৬ ওভার বাকি থাকতে। শেষবেলায় হালকা বৃষ্টিও ঝরছিল। দ্বিতীয় নতুন বল দিয়ে তাই উইকেট নেওয়ার তেমন সুযোগ পায়নি সফরকারীরা।
পেস সহায়ক পিচে প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে ২ উইকেটে ৫০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ পরপর দুই ওভারে আউট করেন ক্যারিবিয়ান দলনেতা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও কেসি কার্টিকে। দ্বিতীয় সেশনে ৩১ ওভারে ১ উইকেট খুইয়ে স্বাগতিকরা আনে ৬৬ রান। রানআউটে কাটা পড়েন কাভেম হজ। থামে লুইয়ের সঙ্গে তার ১৩০ বলে ৫৯ রানের জুটি। রান তোলার মন্থর গতি পাল্টে যায় তৃতীয় সেশনে। বিশেষ করে, শুরুতে নড়বড়ে থাকা আথানেজ পাল্টা আক্রমণে মনোযোগী হন। শেষ সেশনে ৩০ ওভারে ২ উইকেট পড়লেও তার কল্যাণে স্কোরবোর্ডে জমা হয় আরও ১৩৪ রান।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে একটি রিভিউ নষ্ট করেছে। ৬৫তম ওভারে লুইয়ের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নেওয়ার পর দেখা যায়, বল ব্যাটে নয় প্যাডে লেগেছিল। ওই ওভারেই ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৮৪ ওভারে ২৫০/৫ (ব্র্যাথওয়েট ৪, লুই ৯৭, কার্টি ০, হজ ২৫, আথানেজ ৯০, গ্রিভস ১১*, ডা সিলভা ১৪*; হাসান ০/৫৪, শরিফুল ০/২৭, তাসকিন ২/৪৬, তাইজুল ১/৬৭, মিরাজ ১/৪৭)।
Comments