হংকংয়ে ৪৫ গণতন্ত্রপন্থির কারাদণ্ডে সমালোচনার ঝড়

হংকংয়ের এক আদালতে ৪৫ গণতন্ত্রপন্থির সাজা ঘোষণার সময় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। ছবি: রয়টার্স
হংকংয়ের এক আদালতে ৪৫ গণতন্ত্রপন্থির সাজা ঘোষণার সময় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। ছবি: রয়টার্স

গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন বন্ধের জন্য হংকংয়ে জাতীয় সুরক্ষা আইন চালু করে চীন। সেই আইনেই ৪৫ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার হংকংয়ের হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। জাতীয় সুরক্ষা আইন ভাঙার অপরাধে তাদের এই সাজা হয়েছে।

হংকংয়ে জাতীয় সুরক্ষা আইন চালুর সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল।

আইন বিশেষজ্ঞ বেনি তাই সবচেয়ে বেশিদিনের কারাদণ্ড পেয়েছেন। কারণ, তিনিই এই আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ।

নতুন আইন চালু করে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন প্রতিহত করার পর এটাই হংকংয়ে জাতীয় সুরক্ষা আইনের আওতায় সবচেয়ে বড় মামলা ছিল।

গণতন্ত্রপন্থিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা আন্দোলন করে হংকং সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অচল করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল।

সরকার নিযুক্ত বিচারপতিদের সামনে কিছু আন্দোলনকারী দোষ স্বীকার করে নেন। আরও কিছু আন্দোলনকারীকে দোষী বলে সাব্যস্ত করে আদালত।

যুক্তরাষ্ট্র এই বিচারিক কার্যক্রমকে 'রাজনৈতিক মদদপুষ্ট' বলে অভিহিত করেছে। তারা জানিয়েছে, গণতন্ত্রপন্থিদের মুক্তি দেওয়া উচিত, কারণ তারা আইন মেনেই শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।

হংকংয়ের এক আদালতে ৪৫ গণতন্ত্রপন্থির সাজা ঘোষণার সময় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। ছবি: রয়টার্স
হংকংয়ের এক আদালতে ৪৫ গণতন্ত্রপন্থির সাজা ঘোষণার সময় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। ছবি: রয়টার্স

চীন ও হংকং সরকার জানিয়েছে, ২০১৯ সালের গণতন্ত্রপন্থি গণবিক্ষোভের পর এ ধরনের আইনও জরুরি ছিল এবং স্থানীয় আইন মেনেই গণতন্ত্রপন্থিদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এই সাজার প্রতি নিন্দা জানিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার উদ্বেগ

অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, যেভাবে গণতন্ত্রকামীদের শাস্তি দেয়া হলো, তাতে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক গর্ডন এনজি অন্যতম।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং বলেছেন, যেভাবে এই আইন চালু করা হয়েছে এবং তা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রবল আপত্তি আছে।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

3h ago