ইতালিকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

ছবি: এএফপি

দুই দলের উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তবে গ্রুপ সেরা কে হবে সেই প্রশ্ন ছিল। সেটার জবাব মাঠে দারুণভাবে দিল ফ্রান্স। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের লড়াইয়ে ইতালিকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল তারা।

রোববার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে সান সিরোতে 'এ' লিগের ফিরতি সাক্ষাতে ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসিরা। তাদের পক্ষে জোড়া গোল করেন আদ্রিয়েন র‍্যাবিও। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। স্বাগতিকদের হয়ে ব্যবধান কমান আন্দ্রেয়া ক্যাম্বিয়াসো।

গত সেপ্টেম্বরে দুই পরাশক্তির আগের ম্যাচে নিজেদের মাটিতে একই ব্যবধানে হেরেছিল ফ্রান্স। এবারের দেখায় জিতে দুই নম্বর গ্রুপের সেরা হলো তারা। ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ফ্রান্সের পয়েন্ট ১৩, ইতালিরও ১৩। তবে গোল পার্থক্যে দিদিয়ের দেশামের শিষ্যরা (+৬) এগিয়ে লুসিয়ানো স্পালেত্তির (+৫) দলের চেয়ে।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই লিড নেয় সফরকারীরা। লুকাস দিনিয়ের কর্নারে লাফিয়ে উঠে হেড করে জাল কাঁপান সাবেক পিএসজি ও ইউভেন্তাস মিডফিল্ডার র‍্যাবিও। ৩৩তম মিনিটে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান। দিনিয়ের বুলেট গতির ফ্রি-কিকে বল শুরুতে বাধা পায় ক্রসবারে। এরপর গোলরক্ষক গুলিয়েলমো ভিকারিওর পিঠে লেগে তা জড়ায় জালে।

দুই মিনিট পর ব্যবধান কমিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরার আশা দেন ক্যাম্বিয়াসো। বামদিক থেকে ফেদেরিকো দিমার্কোর দূরের পোস্টে ফেলা ক্রসে ভলিতে নিশানা ভেদ করেন তিনি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া ফ্রান্স ইতালির ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় ৬৫তম মিনিটে। ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা অ্যাস্টন ভিলা ডিফেন্ডার দিনিয়ের ফ্রি-কিকে আরেকটি হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি।

ইতালির মাঠে ফ্রান্সের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল। সফরে গিয়ে সবশেষ তিনটি ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে তারা। ইতালিয়ানদের মাটিতে ২০১৬ সালে প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে ও ২০১২ সালে প্রীতি ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছিল ফরাসিরা।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

13h ago