মধ্যপ্রাচ্যে কূটনীতিক নিয়োগ করে কী বার্তা দিলেন ট্রাম্প

মিশিগানে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স ফাইল ছবি

ইসরায়েলপন্থী ও সাবেক গভর্নর মাইক হাকাবিকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ী স্টিভেন উইটফকে মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আজ বুধবার বিবিসি, আল জাজিরাসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। 

হাকাবির নাম ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প লিখেন, 'মাইক দীর্ঘদিন ধরে একজন মহান সরকারি কর্মকর্তা, গভর্নর এবং ধর্মীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইসরায়েল এবং ইসরায়েলের জনগণকে ভালোবাসেন। ইসরায়েলের জনগণও তাকে ভালোবাসে।'

আল জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আরকানসাসের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হাকাবি সবসময় ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রায় সময় তিনি ইসরায়েলি অধিগ্রহণ, বসতির প্রসঙ্গ এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন।

২০১৭ সালে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'পশ্চিম তীর বলতে কিছু নেই। ওই জায়গার নাম জুডিয়া এবং সামারিয়া (বাইবেল অনুযায়ী)। (অবৈধ ইসরায়েলি) বসতি বলতেও কিছু নেই। সেখানে বিভিন্ন শহর, কমিউনিটি রয়েছে। (ইসরায়েলি) অধিগ্রহণ বলতেও কিছু নেই।'

এদিকে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত উইটফের কোনো কূটনৈতিক বা পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক অভিজ্ঞতা নেই। নিউ ইয়র্কের একজন আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবেই তার ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বের শুরু বলে ধারণা করা হয়। তিনি নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নিয়মিত গলফ খেলার সঙ্গী এবং তার নির্বাচনী প্রচারণায় সবচেয়ে বড় দাতাদের একজন।

ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করার পুরস্কার হিসেবেই উইটফকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প।

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প তার সাবেক কর্পোরেট আইনজীবী জেসন গ্রিনব্ল্যাটকে আন্তর্জাতিক আলোচনার জন্য বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে আলোচনার জন্য ট্রাম্প তার জামাতা এবং উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। ইসরায়েলের সঙ্গে কুশনারের পরিবারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

সেবার ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদানের কূটনীতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে স্বাক্ষরিত 'আব্রাহাম অ্যাকর্ডস'-এর পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন গ্রিনব্ল্যাট ও কুশনার।

এবার সৌদি আরবের সঙ্গেও একই রকম চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব চুক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অবস্থান যেমন আরও সুসংহত হবে, তেমনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার প্রশ্নও একরকম বিলীন হয়ে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

3h ago