গাজীপুর আজও শ্রমিক বিক্ষোভ, ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট

শ্রমিক বিক্ষোভ, গাজীপুর, পোশাক শ্রমিক, যানজট,
শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলছে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহানগরীর বাসন এলাকায় পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়।

শিল্প পুলিশ জানায়, আজ রোববার টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার প্রায় দুই হাজারো শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ আশপাশের আঞ্চলিক সড়কগুলোতে তীব্র যানজট তৈরি হয়।

গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের এস আই মনির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। আজও বিক্ষোভ চলছে। এতে দুই মহাসড়কের ১৫ কিলোমিটার এলাকায়জুড়ে যানজট তৈরি হয়েছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, গাজীপুর মহনগরের টঙ্গী, স্টেশন রোড, বোর্ড বাজার থেকে চান্দনা চৌরাস্তাসহ রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, 'তিন মাস ধরে তারা কোনো বেতন পাইনি। মালিকের আশ্বাসে এতদিন অপেক্ষা করেছি, আর পারছি না।'

গতকাল বিকেল ৩টায় গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'বিষয়টি নিয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। একাধিকবার তারিখ দিয়েও মালিক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেননি।'

শিল্প পুলিশ জানায়, গত ২৩ অক্টোবর বেতন পরিশোধের দিন নির্ধারণ করা থাকলেও মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধ করেননি। পরে গত ২৪ অক্টোবর সেনাবাহিনী, মালিকপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়। তখন সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ৩ নভেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন ২০ নভেম্বর পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে বেতন পরিশোধ করেননি মালিকপক্ষ। এরপর গত বৃহস্পতিবার এক জরুরি নোটিশে সেপ্টেম্বরের বেতন ৭ নভেম্বর বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া অক্টোবর মাসের বেতন ২৮ নভেম্বর পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু ৭ নভেম্বরও বেতন পাননি শ্রমিকরা।

এরপর গতকাল টিএনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এক নোটিশ জানানো হয়েছে, 'আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি, সেই সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গত ৭ নভেম্বর পূর্ব ঘোষিত নোটিশের মাধ্যমে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার পরেও গত সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতাদি অনিবার্য করণে পরিশোধ করিতে পারিনি। আশা করছি, অতিসত্বর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করব।'

নোটিশে আরও জানানো হয়, বর্তমানে ফ্যাক্টরিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ফ্যাক্টরির কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শিগগির বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে ফ্যাক্টরি কার্যক্রম শুরু করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Has IMF experiment delivered?

Two years after Bangladesh turned to the International Monetary Fund (IMF) for a $4.7 billion bailout to address its worsening macroeconomic pressures, the nation stands at a crossroads.

8h ago