১১ লাখ গ্রাহকের ৩,৬৪৩ কোটি টাকা বিমা দাবি নিষ্পত্তিতে অনিশ্চয়তা
দেশের চার ভাগের একভাগ জীবন বিমা প্রতিষ্ঠান আর্থিক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হওয়ায় পুরো খাতটি সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা এই সংকটের জন্য অপরিকল্পিত ও মন্দ বিনিয়োগ, এজেন্টদের উচ্চহারের কমিশন নেওয়া ও অত্যধিক ব্যবস্থাপনা খরচকে দায়ী করেছেন। ইতোমধ্যে রুগ্ন ব্যাংকগুলোকে নিয়ে সংকটে পড়া আর্থিক খাত এতে আরও চাপে পড়েছে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য অনুসারে, ৩৬ জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টির প্রায় ১১ লাখ বিমাকারীর তিন হাজার ৬৪৩ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করতে হবে।
তবে গ্রাহকরা কবে তাদের টাকা ফেরত পাবেন তা অনিশ্চিত।
চলতি বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ বছরে জমে থাকা অমীমাংসিত দাবি এই সময়ের মোট দাবির ৬৬ দশমিক ২১ শতাংশ।
নেই কোনো বড় উদ্যোগ
আইডিআরএর তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জীবন বিমাকারীদের দাবি নিষ্পত্তির হার কমেছে। ২০২০ সালে যা ছিল ৮৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা ৭২ শতাংশে নেমে এসেছে।
নিষ্পত্তিযোগ্য দাবি থাকা ৩১ বিমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নয়টিরই নিষ্পত্তির হার সবচেয়ে কম।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এককভাবে দুই হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা বিমা দাবি থাকলেও পরিশোধ করেছে মাত্র ৩২ কোটি টাকা।
২০২১ সালের এপ্রিলে সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোম্পানিকে দিয়ে আইডিআরএর পরিচালিত নিরীক্ষায় ফারইস্টে আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ দুই হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। আরও ৪৩২ কোটি টাকার হিসাবে অনিয়ম পাওয়া গেছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, এই টাকা মূলত দুইভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রথমত, বাজারদামের তুলনায় বেশি টাকায় জমি কেনা। দ্বিতীয়ত, প্রতিষ্ঠানটির মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্ট (এমটিডিআর) বন্ধক রেখে নেওয়া ব্যাংক ঋণ।
এমটিডিআর হচ্ছে এমন ব্যবস্থা যেখানে মুদারাবা অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমা রাখা টাকার ওপর মুনাফা দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইডিআরএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের কারণে বিমা দাবি পরিশোধ ঠিক মতো করা যাচ্ছে না। এটি এই খাতের ওপর জনগণের অবিশ্বাস বাড়াচ্ছে।'
এ ধরনের ব্যাপক অনিয়ম ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোয় আছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।
অপরিকল্পিত বিনিয়োগ, এজেন্টকে নিয়মের বাইরে গিয়ে উচ্চহারে কমিশন দেওয়া ও অফিস ব্যবস্থাপনায় বেশি খরচ বিমা তহবিল কমানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে।
রাজনৈতিক ও আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পাশাপাশি এই খাতের ক্ষতি করছে বলে মন্তব্য করেন সেই কর্মকর্তা।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোয় নতুন বিনিয়োগ ছাড়া কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইডিআরএর অপর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ কবিরের প্রভাবে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ফারইস্টের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।'
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাসহ অন্যান্য অভিযোগে কারাগারে আছেন সালমান এফ রহমান।
বারবার চেষ্টা করেও শেখ কবিরের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অধিকাংশ জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খারাপ। পদ্মা ইসলামী লাইফ ২২৬ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে মাত্র চার কোটি, প্রগ্রেসিভ লাইফ ১৭৪ কোটি টাকা দাবির মধ্যে ছয় কোটি টাকা, সানফ্লাওয়ার ১৪১ কোটি টাকার মধ্যে দুই কোটি টাকা ও বায়রা ৬৭ কোটি টাকার মধ্যে ২ কোটি টাকা দাবি নিষ্পত্তি করেছে।
সানলাইফ ইনসিওরেন্স ৬৪ কোটি টাকার দাবির বিপরীতে তিন কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৮৬ কোটি টাকা দাবির মধ্যে নিষ্পত্তি করেছে ৫০ কোটি টাকা।
এই পাঁচ বছরে গোল্ডেন লাইফ ইনসিওরেন্স ৩৭ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে গ্রাহকদের এক কোটি টাকা ও হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ২৫ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে চার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
আলফা ইসলামী লাইফ, এলআইসি বাংলাদেশ, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ তাদের সব বিমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে বলে আইডিআরএর তথ্য জানা গেছে।
বিমাকারীরা বিপাকে
গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী খালেদা আক্তার ডেইলি স্টারকে জানান, ২০০৮ সালে হোমল্যান্ড লাইফকে দুই লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিয়ে ১২ বছর মেয়াদি বিমা পলিসি কিনেছিলেন আমিনুল।
তিনি আরও জানান, তারা বেশ কয়েকবার প্রতিষ্ঠাটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ২০২০ সালে বিমা দাবি ম্যাচিউর হওয়ার চার বছর পরও তারা টাকা ফেরত পাননি।
বীমা আইন ২০১০ অনুসারে, বিমা দাবি ম্যাচিউর হওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি করতে হবে।
খালেদা আক্তার বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল ডিসেম্বরে দাবির টাকা পরিশোধ করবে।'
প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারলে আমাদের ফিক্সড ডিপোজিটের রসিদ তুলে দাবি নিষ্পত্তি করে দেব।'
কিন্তু খালেদার সন্দেহ কাটেনি। তিনি বলেন, 'পরিবারে আর্থিক সংকটের কারণে কঠিন সময় পার করছি। আমরা একের পর এক বিপদে পড়ে যাচ্ছি।'
বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য
বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, তারা তাদের সম্পদ বিক্রির পরিকল্পনা করছে। এফডিআর ভাঙার পাশাপাশি পরিচালন খরচ কমিয়ে অমীমাংসিত দাবি পরিশোধের চেষ্টা করছে।
প্রগ্রেসিভ লাইফের হেড অব ফিন্যান্স মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ডেইলি স্টারকে জানান, গত আগস্ট পর্যন্ত ১৭৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি হয়েছে।
তার মতে, '২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি টাকা মন্দ বিনিয়োগের কারণে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।'
অব্যবস্থাপনার কারণে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের প্রতিষ্ঠানের বোর্ড পুনর্গঠন করে বলেও জানান আবদুল্লাহ আল মামুন।
নতুন পর্ষদ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসাকে ইতিবাচক ধারায় নিয়ে যেতে তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এরই মধ্যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
গোল্ডেন লাইফ ইনসিওরেন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে নানান অনিয়ম ছিল। এরপর ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।'
এসব অনিয়মের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মাঠ কর্মীদের অনেকে পলিসি বিক্রি করলেও তা জানান না বা মানি রিসিপ্ট প্রধান কার্যালয়ে জমা দেন না। ফলে গ্রাহকরা টাকা দাবি করলে তা আটকে যায়।'
তার ভাষ্য, '২০২০ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দেওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অনেক পুরোনো দাবি নিষ্পত্তি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কর্মীদের সুবিধা দিতে পারছি না। এতে আমাদের প্রতি তাদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।'
প্রাইম ইসলামী লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সব গ্রাহক তথ্য দিয়ে টাকার আবেদন করেন না। সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।'
হোমল্যান্ড লাইফ জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালে শুরুর পর থেকে খরচ তাদের আয়কে ছাড়িয়ে গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকদের টাকা বিনিয়োগে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রাহকদের আস্থা না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির আয় কমেছে।
সানফ্লাওয়ার লাইফের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'করোনা মহামারির কারণে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তহবিল প্রাপ্যতায় এর প্রভাব পড়েছে।
'এরপর আমাদের ব্যবসা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সম্পদ বিক্রির জন্য আইডিআরএর অনুমতি চেয়েছি। অনুমোদন পেলে গ্রাহকদের টাকা আংশিক পরিশোধ করা যাবে।'
পদ্মা ইসলামী লাইফের প্রধান নির্বাহী নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া ডেইলি স্টারকে জানান, ২২৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে ১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার দাবি পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'প্রধান অর্থ কর্মকর্তা না থাকায় তথ্য-উপাত্ত সঠিকভাবে সাজানো হয়নি। আইডিআরএর তথ্যের সঙ্গে আমাদের তথ্যের মিল নেই। নিরীক্ষার মাধ্যমে সংশোধন করা হবে।'
'গত পাঁচ বছরে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিমিয়াম আয় (ব্যাংক আমানতের সুদ) ১২ শতাংশ থেকে ছয় শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে আয় কমে গেছে। সময়মতো দাবি পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।'
গ্রাহকদের বিমা দাবি পরিশোধের জন্য তারা স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করবেন বলেও জানান তিনি।
ব্যবস্থাপনা খরচ কমাতে তারা কাজ করছেন।
গত ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চেষ্টা করেও ফারইস্টের সিইও আপেল মাহমুদ, কোম্পানি সচিব কলিম উদ্দিন ও সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহিম ভূঁইয়াকে পাওয়া যায়নি।
বায়রা লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিশেষজ্ঞদের মত
বহুজাতিক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে ২০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করা এক বাংলাদেশি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও জীবন বিমা বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই খাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করা হয়েছে।'
'দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বিমা প্রতিষ্ঠান আছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার অভাব এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।'
তার মতে—বিমা পলিসি বহুমুখীকরণ করতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও ব্যবস্থাপনা খরচ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে।
দুর্বল বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ আইডিআরএর তত্ত্বাবধানে একীভূত করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ ও সচ্ছল প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শও দেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন মনে করেন, 'যেসব প্রতিষ্ঠানের দাবি নিষ্পত্তির হার ৪০ শতাংশের নিচে সেগুলোকে পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়া উচিত।'
তবে তিনি একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, 'এটি ভালো প্রতিষ্ঠানকে খারাপে পরিণত করবে।'
তিনি মনে করেন, অনিয়ম রোধে দায়ী ব্যক্তিদের জরিমানা করা দরকার।
যা বলছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা
আইডিআরএর মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে দুটি বড় বিকল্প আছে। হয় প্রশাসক নিয়োগ নয়তো প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করা। সরকারের সুনাম বিবেচনা করে নিবন্ধন বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।'
তিনি আরও বলেন, 'আর্থিক অনিয়মে জড়িত পরিচালকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে টাকা উদ্ধারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'
আইডিআরএ ফারইস্ট, পদ্মা, প্রগতিশীল, সূর্যমুখী ও বায়রা লাইফে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'সমস্যাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে নিয়মিত বৈঠকে ডাকা হচ্ছে। নতুন তহবিল সংগ্রহের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।'
এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাবি নিষ্পত্তির জন্য স্থায়ী সম্পদ বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আইডিআরএ আরও আর্থিক অস্থিতিশীলতা রোধে তুলনামূলক স্থিতিশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে।
আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম আসলাম আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই খাতের সমস্যাগুলো সমাধান করা নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এটি করতে সময় লাগবে। আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। রাতারাতি সবকিছু ঠিক করা সম্ভব না।'
Comments