বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

Mehidy Hasan Miraz

আগের ম্যাচে শুরুটা ছিলো দারুণ, জেতাটা ছিলো নাগালের মধ্যেও। খুব ভালো অবস্থা থেকেও নাটকীয় ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হেরেছে বড় ব্যবধানে। প্রথম ওয়ানডেতে হারের চেয়ে হারের ধরণের কারণে প্রবল চাপে থাকা বাংলাদেশ দলের সামনে এবার সিরিজ বাঁচানোর লড়াই।

শনিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এই ম্যাচ জিততে না পারলে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যাবে। যা হলে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা দুটি ওয়ানডে সিরিজ হারের অভিজ্ঞতা নেবে। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।

প্রথম ওয়ানডেতে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আফগানরা তুলে ২৩৪ রান, ২৩৫ রান তাড়ায় ৩ উইকেটে ১৩৩ থেকে ১৪৩ রানে গুটিয়ে ৯২ রানে হেরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন শান্তরা। ১১ রানের মধ্যে ৭, ২৩ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের কারণও খুঁজছে দিশেরা লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ পেয়েছে একটা দুঃসংবাদ। কিপিংয়ে আঙুলে চিড় ধরায় লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এই সিরিজ তো বটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলাও শঙ্কায় তার। মুশফিক না থাকায় তার জায়গায় কিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিকের অভিষেক একরকম নিশ্চিত।

আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ,   'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মুশফিক ভাই ইনজুরিতে। আমরা সবাই জানি তিনি দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। জাকের আলির জন্য শুভকামনা। তার জন্য এটা ভালো সুযোগ। সে যদি শতভাগ দিতে পারে তাহলে দলের জন্য ও তার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো।'

প্রথম ওয়ানডেতে ভিসার কারণে স্কোয়াডে যোগ দিতে না পারা নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা অবশ্যই সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে গেছেন। তাদের মধ্যে নাসুম আহমেদ খেলার জন্যও বিবেচিত হতে পারেন।

সব মিলিয়ে আদর্শ সমন্বয় খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে মাঠের খেলায় শক্ত চ্যালেঞ্জ থাকবে বাংলাদেশের। সিরিজে পিছিয়ে থাকলেও নেতিবাচক না ভেবে ঘুরে দাঁড়ানোর বিশ্বাস  সহ-অধিনায়ক মিরাজের কণ্ঠে , 'আমাদের এখনো সিরিজে ফেরার সুযোগ আছে। একটা ম্যাচ হেরেছি, কিন্তু দুইটা ম্যাচ বাকি আছে। আমরা পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

9h ago