বিশ্বরেকর্ডে ভাগ বসালেও নিজের একার করতে পারলেন না রিজওয়ান

মোহাম্মদ রিজওয়ান। ছবি: এএফপি

নাসিম শাহের বলে অ্যাডাম জ্যাম্পা তুললেন ক্যাচ। অনেক উঁচুতে ওঠা বলের নিচে পজিশন নিলেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু গ্লাভস হাতেও আসল কাজটা করতে করতে পারলেন না পাকিস্তান অধিনায়ক। ফেলে দিলেন সহজতম ক্যাচগুলোর একটি। নতুন বিশ্বরেকর্ডই হাত ফসকে বেরিয়ে গেল!

শুক্রবার অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জ্যাম্পার ক্যাচ মিসের আগে আরও ছয়টি ক্যাচ নেন রিজওয়ান। এই সংস্করণের ইতিহাসে কোনো ম্যাচে একজন উইকেটকিপারের সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি।

ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে এটি কোনো উইকেটরক্ষকের ছয়টি ক্যাচ নেওয়ার সপ্তদশ ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি সাবেক তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্টের একারই এই কীর্তি আছে ছয়বার। পাকিস্তানের হয়ে আগে করতে পেরেছিলেন কেবল সরফরাজ আহমেদ, ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক হিসেবে ছয়টি ক্যাচ নেওয়ার কৃতিত্বও রিজওয়ানের আগে ছিল মাত্র একজনের। ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট ২০০০ সালের জুলাইতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বরেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন।

তাহলে সবার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন কে? গিলক্রিস্টই! তিনি ২০০০ সালের এপ্রিলে নিজের নাম খোদাই করেছিলেন ইতিহাসের পাতায়। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার অজিদের বিপক্ষেই গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে উইকেটকিপার হিসেবে সাতটি ক্যাচ নিয়ে চূড়ায় ওঠার সুযোগ পান রিজওয়ান। কিন্তু জ্যাম্পার ক্যাচ মিস করায় সেটা হাতছাড়া হয়।

রিজওয়ানের স্মরণীয় দিনে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ৩৫ ওভারে ১৬৩ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে আগুন ঝরান পাকিস্তানের পেসাররা। হারিস রউফ ২৯ রানে নেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট পেতে শাহিন শাহ আফ্রিদির খরচা ২৬ রান। একটি করে উইকেট যায় নাসিম ও মোহাম্মদ হাসনাইনের ঝুলিতে।

হারিসের ৫ উইকেটের চারটিতেই ক্যাচ নেন রিজওয়ান। জশ ইংলিস, মারনাস লাবুশেন, অ্যারন হার্ডি ও অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করেন পাকিস্তানের নতুন দলনেতা। এছাড়া, হাসনাইনের বলে স্টিভেন স্মিথ ও নাসিমের বলে মিচেল স্টার্কের ক্যাচ লুফে নেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

17h ago