নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পরও পদ ছাড়বেন না জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা
জাপানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ক্ষমতা গ্রহণের পরই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সেই নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তার দল এলডিপির। তা সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইশিবা।
আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববারের নির্বাচনে ইশিবার (৬৭) লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে। ১৯৫৫ থেকে জাপানের শাসনভার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এলডিপির কাছে থেকেছে। বিশ্লেষকদের মতে, আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ভোটাররা এক কালের জনপ্রিয় দলটিকে 'শাস্তি' দিয়েছেন।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এলডিপির নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইশিবা পদত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, 'রাজনৈতিক নেতৃত্বও শুন্যতা' এড়াতে তিনি পদ ছাড়বেন না।
সাংবাদিকদের ইশিবা বলেন, 'আমি দেশ ও দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই'।
তিনি বলেন, নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে, আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে 'মানুষের সন্দেহ, অবিশ্বাস ও রাগ'। এলডিপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া তহবিল তছরুপের অভিযোগ এসেছে। এসব কারণে ইশিবার পূর্বসূরি ফুমিও কিশিদা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ইশিবা আরও বলেন, 'আমি অর্থ ও রাজনীতিতে মৌলিক সংস্কার করব।'
তিনি আবারও বলেন, ভোটাররা তার দলকে 'কড়া শাস্তি' দিয়েছে।
জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ও অন্যান্য গণমাধ্যম বলেছে, বুথ ফেরত জরিপের ফল, গত তিন মাসে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের সর্বোচ্চ পতন ও ভোটের ফল—সব মিলিয়ে এলডিপি ও জোটের ছোট অংশীদার কোমেইতোর জন্য গত ১৫ বছরে এতো কঠিন সময় আর আসেনি।
৪৫৬ সদস্যের নিম্নকক্ষে অন্তত ২৩৩ আসন না পেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে এলডিপি।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এলডিপি মাত্র ১৯১টি আসন পেয়েছে। কোমেইতো পেয়েছে ২৪টি।
২০২১ এর নির্বাচনে ২৫৯টি আসন পেয়েছিল এলডিপি।
আজ দিনের শেষে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদার কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গতবার ৯৬ আসন পেলেও এবার ১৪৮টি আসন জিতেছে।
Comments