তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের রিভিউ শুনানি পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর

সুপ্রিম কোর্ট

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের ২০১১ সালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে দায়ের করা দুটি পৃথক রিভিউ পিটিশনের শুনানি পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

আইনজীবীরা প্রস্তুতির জন্য সময়ের আবেদন করলে আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ নতুন দিন ধার্য করেন। আজ বৃহস্পতিবার সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। 

১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং আরও পাঁচজন নাগরিক রিভিউ পিটিশন করেছেন।

সর্বশেষ গতকাল বুধবার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার তার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন জমা দেন।

আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রমাণ করেছে কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

এর আগে একই ইস্যুতে আপিল বিভাগে দুটি রিভিউ আবেদন করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনর্বহাল চেয়ে গত ১৬ অক্টোবর রিভিউ আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর পর ২৭ আগস্ট একই ধরনের একটি পিটিশন দায়ের করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক। পিটিশনে তারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জনগণের রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়েছে এবং তাই এটি সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামোতে পরিণত হয়েছে, যা বাতিল করা যাবে না।

Comments

The Daily Star  | English
Concerns about the international crimes tribunals act amendment

Amended ICT law to allow trial of security personnel

The newly amended International Crimes (Tribunals) Act will allow for the prosecution of members of the army, navy, air force, police, Rapid Action Battalion, Border Guard Bangladesh and all intelligence agencies.

2h ago