‘বিশ্বাসে’ ভর করে ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ

Mehidy Hasan Miraz & Nayeem Hasan
দুই অপরাজিত ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সকালের শুরুটা দেখলে এই কথা অনেকের কাছে হয়ত লাগত 'পাগলের প্রলাপ'। ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জাকের আলি অনিক ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ জানালেন, দলের ভেতর এবার জেতার বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ছে।

মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ৩০৮ রান তুলে ২০২ রানের লিড নিয়ে নেয় প্রোটিয়ারা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখন সফরকারীদের হাতে। তৃতীয় দিন সকালে ১১২ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর ইনিংস ছিলো সম্ভাব্য বাস্তবতায়। 

সেই জায়গা থেকে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দলকে টেনে তুলেন মিরাজ-জাকের। পরে নাঈম হসানকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন আরও ৩৩ রান যোগ করেছেন মিরাজ, এই অলরাউন্ডার অপরাজিত আছেন ৮৭ রানে। বাংলাদেশের লিড হয়েছে ৮১ রানের।

শেষ তিন উইকেট নিয়ে অন্তত দেড়শো রানের লিড নিলেও ম্যাচ জেতার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কারণ মিরপুরের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে তিন অঙ্কের উপরে যেকোনো পুঁজি তাড়া করাই চ্যালেঞ্জের।

বৃষ্টি ও আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা সংক্ষিপ্ত হওয়ায় ম্যাচ গড়িয়েছে চতুর্থ দিনে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দলের হয়ে গণমাধ্যমে আসেন স্পিন কোচ মুশতাক। তিনি তার প্রতিটি জবাবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বাসের কথা জোরালোভাবে জানিয়ে গেছেন, 'আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলব আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে বিশ্বাস আছে। যখন বিশ্বাস থাকে যেকোনো প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। আমাদের যতটা বেশি সম্ভব ব্যাটিং চালিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত রান বাড়াতে হবে। লিড যতটা বড় করা যায় করতে হবে।'

শেষ তিন উইকেট নিয়ে আরও একশোর বেশি রান তোলার বিশ্বাসও রাখেন মুশতাক,  'এই বিশ্বাস আছে (দুইশোর বেশি লিড দেওয়া)। কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়রা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। ক্রিকেটে আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে বিশ্বাস রাখতে হবে। আমরা ফলের কথা না ভেবে লড়াই ও প্রক্রিয়া ঠিক রাখব। বিশ্বাস থাকলেই ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করা যায়।'

প্রথম ইনিংসে দুইশো রানে পিছিয়ে প্রবল প্রতিকূল অবস্থা থেকে ম্যাচ জেতা এখন ভীষণভাবেই সম্ভব মনে হচ্ছে মুশতাকের কাছে,  'কেন নয় (জেতা)। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। এটা হচ্ছে প্রক্রিয়া ঠিক রাখা ও হাল ছেড়ে না দেওয়া। যখন আপনি হাল ছাড়বেন না, প্রতিপক্ষ আপনাকে সমীহ করা শুরু করবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

3h ago