সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে মিয়ানমারে রাশিয়ার ৫ যুদ্ধজাহাজ

রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর থেকে পাঁচটি জাহাজ রোববার ইয়াঙ্গুনের থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছেছে। ছবি সৌজন্য: গ্লোবাল নিউ লাইট

যৌথ সামরিক মহড়ায় যোগ দিতে রাশিয়ার নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ মিয়ানমারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে চারটি করভেট ও একটি লজিস্টিক জাহাজ রয়েছে।

সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই খবর দিয়েছে এএফপি।

মায়ানমারের গ্লোবাল নিউ লাইট জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর থেকে পাঁচটি জাহাজ রোববার ইয়াঙ্গুনের থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছেছে। এটি মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিতীয় যৌথ সামরিক মহড়া। তবে বিস্তারিত না জানিয়ে মিয়ানমারের ওই গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার জাহাজগুলো 'হারবার ফেজ' মহড়ায় অংশ নেবে।

রোববার মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলেছে, ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর আন্দামান সাগরের একটি লাইভ-ফায়ার সামুদ্রিক মহড়া চালাবেন তারা। তবে এই মহড়ায় রাশিয়ার নৌবাহিনী অংশ নিচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করেনি মিয়ানমার সরকার। মহড়া চলাকালে মাছ ধরার ট্রলার ও উড়োজাহাজকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে রাশিয়া ও মিয়ানমারের নৌবাহিনী আন্দামান সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছিল।

চীনের পাশাপাশি রাশিয়াও মিয়ানমার জান্তার ঘনিষ্ঠ মিত্র। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে দমনে অস্ত্র ও কূটনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে মস্কো। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্রোহীদের হামলার মুখে বিমান বাহিনীর উপর নির্ভর জান্তা সরকারের নির্ভরতা বাড়ছে। বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাতে রাশিয়ার তৈরি সুখয় এসইউ-৩০, মিগ-২৯ এবং ইয়াক বিমান ব্যবহার করছে মিয়ানমার।

জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন। ২০২২ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

রাশিয়া বলেছে তারা নতুন নির্বাচনের জন্য মিয়ানমারের জেনারেলের পরিকল্পনাকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে 'ন্যায়সঙ্গত' বলে সমর্থন জানিয়েছে মিয়ানমার।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে জান্তার অধীনে যেকোনো নির্বাচন হবে 'প্রতারণা'।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago