ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ছিলাম: জেড আই খান পান্না

জেড আই খান পান্না। ছবি: প্রথম আলো থেকে নেওয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই গুলি করে ও পিটিয়ে একজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে এমন মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।

মামলার বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে জেড আই খান পান্না দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৯ জুলাই না, আমি আগাগোড়াই কোটার বিরুদ্ধে ছিলাম। কোটাবিরোধী আন্দোলনের আগে থেকেই আমি কোটার বিরুদ্ধে ছিলাম।'

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ১৯ জুলাই আহাদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ ও আহত হওয়ার প্রায় তিন মাস পর এ মামলা হলো।

টেলিফোনে কল করা হলে জেড আই খান পান্না বলেন, '১৯ জুলাই আমি আদালতেই সম্ভবত কাজ করছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি এই আন্দোলনের সঙ্গে কানেক্টেড ছিলাম।'

'আমি কীভাবে শেখ হাসিনার নির্দেশে চিনি না জানি না একজনকে হত্যার চেষ্টা করতে যাব?' প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

এই আইনজীবী আরও বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া মানে যারা জড়িত ছিল, সেই আসল অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। একটা মিথ্যা মামলা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। যারা মামলায় আমার নাম দিয়েছে, তাদের নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য আছে।'

তিনি বলেন, 'শুধু আমার বিরুদ্ধে এই মামলা নয়, কোথাও যেন কোনো মিথ্যা মামলা না হয় এবং কাউকে যেন হয়রানি না করা হয় এটাই আমি চাই।'    

কোটা আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার আদেশ চেয়ে গত ২৯ জুলাই আইনজীবীদের একটি দল গত ২৯ জুলাই হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাদের একজন ছিলেন জেড আই খান পান্না। শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ২৯ জুলাই গঠিত জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের সদস্যও ছিলেন তিনি।

গত ১৯ জুলাই ছেলেকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আহাদুলসহ অন্যরা মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নাম না জানা বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিরা তাকে মারধরও করে।

Comments

The Daily Star  | English

Not for kidney patient, they tried to rob bank for iPhones

Police say three robbers fabricated a story claiming that the robbery was to save a kidney patient

37m ago