‘ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকে চিনতে না পারায়’ চিকিৎসককে মারধর, ‘মানববন্ধনে বাধা’

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি: সংগৃহীত

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হিটলুর বিরুদ্ধে।

আরও অভিযোগ উঠেছে, এই হামলার প্রতিবাদে বুধবার হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করতে গেলে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়।

চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. মাহাবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মারধরের শিকার ওই চিকিৎসকের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতালে এসে একজন রোগীর বিষয়ে তথ্য জানতে চান হিটলু। সেই সময় তাকে চিনতে না পারার কারণে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে হিটলু এবং তার পাঁচ-ছয়জন সহযোগী আমাকে বেধরক মারধর করে চলে যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'রাতে বিএনপি নেতারা হাসপাতালে এসে মীমাংসা করতে চাপ দেয়। সে সময় হিটলু উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতাদের চাপে মীমাংসা করেছি।'

রফিকুল বলেন, 'রাতেই হামলার বিষয়টি আমি লিখিতভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি। সিভিল সার্জন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।'

নাটোর জেলা সিভিল সার্জন সিভিল সার্জন ডা. মো. মশিউর রহমান ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন, নবাব সিরাজউদ দৌলা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও জেলা ছাত্রদল নেতা শহিদুল্লাহ সোহেলের উপস্থিতিতে দোষ স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন হিটলু।

চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে হিটলু বলেন, হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে নিজেরা বসে মীমাংসা করে নিয়েছেন।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুর রহমান বলেন, 'চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরবর্তীতে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তির লিখিত ক্ষমা প্রার্থনার পত্র দিয়েছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments