ফুটবল থেকে অবসরে ইনিয়েস্তা
সব ধরনের পেশাদার ফুটবল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিলেন কিংবদন্তি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তিনি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে তার একমাত্র গোলেই নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন।
বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা ৪০ বছর বয়সী ইনিয়েস্তা দিয়েছিলেন আগেই। সোমবার সম্পন্ন করেছেন বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা। তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের অক্টোবরে বার্সেলোনার জার্সিতে। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়েই ২২ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে বার্সা ছাড়ার পর যোগ দিয়েছিলেন জাপানিজ ক্লাব ভিসেল কোবেতে। আর সবশেষ মৌসুমে খেলেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব এমিরেটসে।
বল পায়ে দুর্দান্ত সব কারিকুরি, নিখুঁত পাসে সতীর্থদের খুঁজে নেওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করার দক্ষতার কারণে ইনিয়েস্তার খ্যাতি দুনিয়াজোড়া। বার্সেলোনার মূল দলে ১৬ বছর থাকাকালীন বহু শিরোপা জেতার স্বাদ নিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নয়টি লা লিগা, চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ। কাতালানদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনি মাঠে নেমেছেন ৬৭৪ ম্যাচে। নিজে গোল করেছেন ৫৭টি। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১৩৫টি গোল।
কোবের হয়ে খেলা পাঁচ বছরে একটি জে ওয়ান লিগসহ ইনিয়েস্তার শিরোপা মোট তিনটি। তাদের হয়ে সব মিলিয়ে ১৩৪ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২৬টি গোল ও ২৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলা একমাত্র মৌসুমে মোট ২৩ ম্যাচে পাঁচটি গোলের সঙ্গে একটি অ্যাসিস্ট আছে তার।
এদিন ক্লাব ক্যারিয়ারের ইতি টানলেও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেকে ইনিয়েস্তা সরে দাঁড়িয়েছেন ২০১৮ সালে। স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ১৩১ ম্যাচে তার গোল ১৪টি। লা রোহাদের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি ২০০৮ ও ২০১০ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দেশটির অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২১ দলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন তিনি।
স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছেন ইনিয়েস্তা। তার ওপরে আছেন জাভি হার্নান্দেজ, সার্জিও বুসকেতস, ইকার ক্যাসিয়াস ও সার্জিও রামোস। বার্সেলোনার পক্ষে তিনি মাঠে নেমেছেন চতুর্থ সর্বোচ্চ ম্যাচে। এই তালিকায় তার চেয়ে এগিয়ে আছেন বুসকেতস, জাভি ও লিওনেল মেসি।
Comments