শেষ মুহূর্তের গোলে নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

৮১তম মিনিটে দুটি পরিবর্তন করলেন গ্যারেথ সাউথগেট। কাজে লেগে গেল ইংল্যান্ডের কোচের সিদ্ধান্ত। শেষ বাঁশি বাজতে যখন আর দেরি নেই বললেই চলে, তখনই দুই বদলি খেলোয়াড়ের সম্মিলনে ব্যবধান তৈরি হলো ম্যাচে। কোল পালমারের পাস ডি-বক্সে পেয়ে নিখুঁত কোণাকুণি শটে গোল করলেন ওলি ওয়াটকিন্স। উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে নেদারল্যান্ডসের হৃদয় ভেঙে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল উঠল সাউথগেটের শিষ্যরা।

ডর্টমুন্ডে বুধবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ঘুরে দাঁড়িয়ে ডাচদের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে ইংলিশরা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ওয়াটকিন্সের পা থেকে আসে জয়সূচক লক্ষ্যভেদ। আগের গোলগুলো হয় দুই ফুটবল পরাশক্তির লড়াইয়ের প্রথমার্ধে। জাভি সিমন্সের দুর্দান্ত গোলে সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এরপর ১৮তম মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন হ্যারি কেইন।

প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে আয়োজিত কোনো বড় প্রতিযোগিতার (বিশ্বকাপ ও ইউরো) ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। আগের দুবারই (১৯৬৬ বিশ্বকাপ ও ২০২০ ইউরো) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ তারা খেলেছিল ঘরের মাঠে। যোগ্য দল হিসেবেই সেমির বাধা টপকেছে দলটি। বল দখলে আধিপত্য করার পাশাপাশি আক্রমণেও ছিল তাদের দাপট। ৫৯ শতাংশ সময় বল পায়ে রেখে গোলমুখে নয়টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখে তারা। অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসের নেওয়া সাতটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে।

পেনাল্টির সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার অনেক অবকাশ রয়েছে। ১৫তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়ে গোলপোস্টের অনেক ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন কেইন। কিন্তু শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও ম্যাচে ফেরার পথ তৈরি হয়ে যায় ইংলিশদের। শট নেওয়ার পরে নেদারল্যান্ডসের ডেনজেল ডামফ্রিসের বাড়ানো পা গিয়ে লাগে কেইনের পায়ে। তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। সুবর্ণ সুযোগ লুফে নিতে ভুল করেননি ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের খেলার গতি কমে যায় অনেকখানি। জমজমাট প্রথমার্ধে অবশ্য হতে পারত আরও গোল। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে উদযাপন করতে পারেনি কোনো দলই। ২৯তম মিনিটে ডামফ্রিসের হেড ক্রসবারে বাধা পায়। দুই মিনিটের ব্যবধানে ফিল ফোডেনের দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। শুধু তাই নয়। ২৩তম মিনিটেই লিড পেতে পারত ইংল্যান্ড। ডি-বক্সে ডাচ গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে শট নেন ফোডেন। একেবারে গোললাইন থেকে বল থামান ডামফ্রিস।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। গতবার টাইব্রেকারে ইতালির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তাদের। ইউরোপের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসরের অধরা শিরোপা জিততে আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে তারা। এবারের অভিযানে ইংলিশদের প্রতিপক্ষ ফর্মের চূড়ায় থাকা স্পেন। আগের দিন মিউনিখে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে একই ব্যবধানে হারায় ইউরোর রেকর্ড তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশরা। আগামী রোববার ফাইনাল হবে বার্লিনে।

Comments

The Daily Star  | English

Reform commission reports: Proposals seek to bring youths into JS

Reform commissions on the constitution and election process have both recommended measures that increase opportunities for the youth to run for parliament and become more involved in politics, sparking both hope and criticism.

9h ago