শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রবল বৃষ্টি ও মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে শেরপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ছবি: স্টার

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা বর্ষণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যায় সাত জনের মৃত্যুর কথা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রোববার দুপুর পর্যন্ত শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার অন্তত আরও ছয়টি ইউনিয়নের অনেকগুলো গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। উজানের ঢল ভাটির দিকে নামতে শুরু করায় ছোটবড় বিভিন্ন বাঁধ ও সড়কে ফাটল ও ভাঙন দেখা দিয়েছে। শেরপুর থেকে তিনআনী হয়ে নালিতাবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীগাঁও সেতুর কাছে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় শনিবার দুপুর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এ ছাড়া শেরপুর থেকে গাজীর খামার হয়ে নালিতাবাড়ীগামী রাস্তার কলসপাড় ইউনিয়নের চারটি জায়গার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ওই সড়কে যানবাহন ও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বন্যায় পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বৃষ্টিতে মাত্র দুইদিনে জেলার মহারশি, ভোগাই, মৃগী, চেল্লাখালি ও সোমেশ্বরী নদী প্লাবিত হয়। নদীগুলোর আশেপাশের এলাকাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।

জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ৩০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় গতকাল শনিবার থেকে সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, শনিবার রাতে এই উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নালিতাবাড়ীতে পাঁচজন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার জানিয়েছেন, শুধু ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২ হাজার ৫৭টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ১১ কোটি টাকার বেশি। পুরো জেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ চলছে। এছাড়া শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

2h ago