জুমার খুতবায় ইরানের পরবর্তী পরিকল্পনা জানাবেন খামেনি

২০২০ সালে সর্বশেষ জুম্মার নামাজে ইমামতি করেন খামেনি। ফাইল ছবি: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার কার্যালয়
২০২০ সালে সর্বশেষ জুম্মার নামাজে ইমামতি করেন খামেনি। ফাইল ছবি: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার কার্যালয়

২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো তেহরানের ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করবেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। নামাজের খুতবায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। 

বিশ্লেষকরা ভাবছেন, নামাজের খুতবায় এ সপ্তাহে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে পারেন খামেনি। 

আর তিন দিন পরই ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে।

এরকম সময়ে খামেনির ইমামতি করার ও বক্তব্য রাখার এই বিরল ঘটনাকে বিশেষ অর্থবহ বলছেন বিশ্লেষকরা।

নামাজের আগে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় প্রয়াত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ স্মরণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন খামেনি। ছবি: রয়টার্স (২ অক্টোবর, ২০২৪)
বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন খামেনি। ছবি: রয়টার্স (২ অক্টোবর, ২০২৪)

মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে প্রায় ১৮০ থেকে ২০০টির মতো ব্যালিসটিক ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। 

এই হামলার পর থেকেই পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা সমর্থন করবেন না বলে জানালেও তেল অবকাঠামোও সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে 'আলোচনা চলছে' বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

ইতোমধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, ইরানের ওপর হামলা এলে কড়া জবাব দেওয়া হবে। 

একইরকম বক্তব্য দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী। 

ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নিজেই নেন। চলমান পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই বলেননি খামেনি। 

যার ফলে তার আজকের এই বক্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর আগ্রহ। 

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

5h ago