বাংলাদেশের পরম আরাধ্য জয়ের ম্যাচে নাহিদার উইকেটের ‘সেঞ্চুরি’

ছবি: এএফপি

১০ বছর ধরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়হীন ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। অবশেষে তারা গেরো খুলতে পারল স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে। পরম আরাধ্য এই জয়ের ম্যাচে উইকেটের 'সেঞ্চুরি' পূরণ করলেন নাহিদা আক্তার।

প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক গড়েছেন নাহিদা। বৃহস্পতিবার স্কটিশদের বিপক্ষে ১৬ রানের জয়ে এই বাঁহাতি স্পিনার ১৯ রান খরচায় পান ১ উইকেট। শততম উইকেট পেতে তাকে খেলতে হয়েছে ৮৮ ম্যাচ।

বাংলাদেশের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডের ইনিংসের ১৯তম ওভারে আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ২৪ বছর বয়সী নাহিদার ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন ক্যাথেরিন ফ্রেজার। অনেক উঁচুতে ওঠা বল দৃঢ়তার সঙ্গে লুফে নেন রাবেয়া খান।

নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৪তম বোলার হিসেবে এই সংস্করণে উইকেটের 'সেঞ্চুরি' স্পর্শ করেছেন নাহিদা। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে তার ঠিক পেছনে আছেন সালমা খাতুন। এই অফ স্পিনার ৯৫ ম্যাচে পেয়েছেন ৮৪ উইকেট। তিনে থাকা লেগ স্পিনার রুমানা আহমেদের নামের পাশে ৮৭ ম্যাচে ৭৫ উইকেট।

মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অলরাউন্ডার ফাহিমা খাতুনও। তিনি এই সংস্করণে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেছেন বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে। এই ম্যাচে লেগ স্পিনে তার শিকার ২১ রানে ১ উইকেট। তবে চার ওভারে স্রেফ ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার রিতু মনি।

শারজাহতে ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মূলত বোলারদের নৈপুণ্যে বাংলাদেশ হেসেছে শেষ হাসি। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১১৯ রানের সাদামাটা পুঁজি পায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে আটকে যায় স্কটিশরা।

বিশ্বকাপে ২২ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় জয়। দীর্ঘ এক দশক পর এই প্রতিযোগিতায় কোনো ম্যাচ জিতেছে তারা। তাদের আগের দুটি জয়ই ছিল ২০১৪ সালের আসরে। সেবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

Comments

The Daily Star  | English

Has IMF experiment delivered?

Two years after Bangladesh turned to the International Monetary Fund (IMF) for a $4.7 billion bailout to address its worsening macroeconomic pressures, the nation stands at a crossroads.

10h ago