থানা আওয়ামী লীগ নেতা গফুর গ্রেপ্তার, ‘ছাত্র-জনতার ওপর ছুড়েছিলেন ৯২ গুলি’

‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গফুর জানিয়েছেন, ৯২টি গুলি তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবহার করেছেন’
ছবি: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সৌজন্যে

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর অভিযোগে রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গফুর মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার লাইসেন্সকৃত শটগান, আটটি অক্ষত গুলি ও একটি ব্যবহৃত কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে রূপনগর এলাকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাকছেদুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষত মিরপুর-১০, পল্লবী, প্রশিকার মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। গত ২০ জুলাই বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে প্রশিকা মোড় মেইন রোডে শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর শামীমের চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার বাদী হয়ে রূপনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

'মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং সংবাদ মধ্যেমের তথ্য পর্যালোচনা করে গফুর মোল্লার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

মাকছেদুর রহমান আরও বলেন, 'গফুর মোল্লা তার নামে লাইসেন্সকৃত শটগানের জন্য ২০০১ সালে ৫০টি, ২০০৬ সালে ২৫টি এবং ২০১৩ সালে ২৫টি মোট ১০০টি গুলি কিনেছিলেন। গ্রেপ্তারকালে তার কাছে আটটি অক্ষত গুলি পাওয়া যায়, বাকি ৯২টি গুলির বিষয়ে তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এ ছাড়া, তিনি গুলি ব্যবহার বা হারানো সংক্রান্ত জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেননি।'

'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গফুর জানিয়েছেন, ৯২টি গুলি তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবহার করেছেন,' বলেন মাকছেদুর রহমান।

গফুরের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা রয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'মিরপুর-১০ নম্বর সেকশন এলাকায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছে গত ৪ আগস্ট ইমন হোসেন আকাশ নামে একজন নিহত হন। ওই ঘটনায় আকাশের মা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গফুর মোল্লা সেই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago