যথেষ্ট হয়েছে, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলা চলবে: নেতানিয়াহু

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘে বলেছেন, লেবাননে ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের ওপর ইসরায়েলের হামলা চলবে। 

রয়টার্স বলছে, এতে যুদ্ধবিরতির আশা ম্লান হয়ে গেছে এবং যার ফলে সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।

আজ শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কথা উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, 'যতক্ষণ হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পথ বেছে নেবে, ইসরায়েলের কোনো বিকল্প নেই। ইসরায়েলের এই হুমকি অপসারণের এবং আমাদের নাগরিকদের নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'ইসরায়েল প্রায় এক বছর ধরে এই অসহনীয় পরিস্থিতি সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আজ এখানে এসেছি এটা বলতে যে, যথেষ্ট হয়েছে।'

নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে অনেক বিশ্বনেতা সাধারণ অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন।

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক নেতানিয়াহু

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চার বছর আগে করা আব্রাহাম চুক্তির কথা তুলে ধরেন নেতানিয়াহু।

তিনি বলেন, 'ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যেও একটি "ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি"র মাধ্যমে ওই প্রক্রিয়াটি চালু রাখা উচিত।'

নেতানিয়াহু বলেন, 'এই ধরনের উন্নয়ন হবে আমাদের দুই দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ।'

তিনি বাণিজ্য, পর্যটন, জ্বালানি, পানি, কৃষি এবং এআইকে চুক্তির ক্ষেত্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন, যার ফলে দুই দেশ উপকৃত হবে।

ইরানের প্রতি হুঁশিয়ারি

ইরানকে হুঁশিয়ার করে নেতানিয়াহু বলেছেন, 'তেহরানের দুষ্কৃতিকারীদের জন্য আমার একটি বার্তা আছে, তা হলো- আপনারা হামলা করলে আমরাও হামলা করব।'

ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'ইরান যেন কখনই পারমাণবিক অস্ত্র না পায়, তা নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে সাধ্যমত সবকিছু করতে হবে।'

গাজা প্রসঙ্গে

গাজা প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, 'সেখানে হামাসের ৪০ হাজার সেনার প্রায় অর্ধেক তাদের হাতে নিহত বা গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের ৯০ শতাংশ রকেট ধ্বংস করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'আমরা গাজায় পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি না। আমরা সেখানে নিরস্ত্রীকরণ এবং উগ্রবাদমুক্ত এলাকা চাই। ইসরায়েল সরকার সেখানে আঞ্চলিক ও অন্য নেতাদের আঞ্চলিক বেসামরিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে তাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেখাতে হবে। কিন্তু হামাসকে কখনোই মেনে নেবে না ইসরায়েল।'

জাতিসংঘকে 'অন্ধকার ঘরের' সঙ্গে তুলনা

জাতিসংঘকে 'অন্ধকার ঘরের' সঙ্গে তুলনা করে সাধারণ অধিবেশনের বক্তব্য শেষ করেন নেতানিয়াহু।

জাতিসংঘ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই ইহুদিবিদ্বেষী পিত্তে ভরা জলাভূমিতে অধিকাংশই ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি অমানবিক। গত দশকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অনেক প্রস্তাব পাস হয়েছে।'

একে ভন্ডামি, দ্বিমুখী নীতি ও রসিকতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

14h ago