ইসরায়েল-লেবানন সংঘাতে ৩ সপ্তাহের বিরতি চায় যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও মিত্ররা

বৈরুতের শহরতলীতে ইসরায়েলি বিমানহামলার পর ঘটনাস্থলে লেবানিজরা জমায়েত হতে শুরু করেন। ছবি: রয়টার্স
বৈরুতের শহরতলীতে ইসরায়েলি বিমানহামলার পর ঘটনাস্থলে লেবানিজরা জমায়েত হতে শুরু করেন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাদের মিত্ররা লেবাননে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চালুর আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ১১টি দেশ অবিলম্বে লেবাননে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব দিয়েছে। চলমান সংকটের শান্তিপূর্ন সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালান প্রয়োজন। এবং এ কারণে সাময়িক এই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলে মনে করে তারা।

একই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরেরও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

বৈরুতের শহরতলীতে ইসরায়েলি বিমানহামলায় এই গাড়িটি ধ্বংস হয় পর। ছবি: রয়টার্স
বৈরুতের শহরতলীতে ইসরায়েলি বিমানহামলায় এই গাড়িটি ধ্বংস হয় পর। ছবি: রয়টার্স

এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, এ ধরনের বৈরি পরিস্থিতি 'সহ্য করার মতো নয়' এবং এতে এই অঞ্চলে আরও বড় আকারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও কাতার ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের বৈঠকের পর এ যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।

ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের উদ্দেশ করে দেশটির সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হালেভির একটি বক্তব্যের পরই যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। হালেভি তাঁর বাহিনীর সদস্যদের বলেছেন, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা তাদের 'শত্রু অঞ্চলে প্রবেশের পথ' তৈরি করে দিতে পারে।

দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলার পর। ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলার পর। ছবি: রয়টার্স

বিশ্লেষকদের মতে, হালেভির এই বার্তা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, 'সমাধানের সময় এসেছে, যা সীমান্তের দুই পাশের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে তাঁদের বাড়িতে ফেরা নিশ্চিত করবে।'

তাঁদের আশঙ্কা, বর্তমানে যে বৈরিতা চলছে, তাতে বড় ধরনের সংঘাত এবং বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি আছে।

বাইডেন ও মাখোঁ আরও বলেন, 'সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ঠেকাতে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ সফল করতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আমরা সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

'Why should an innocent person be punished?' says Jahangir on Hamid's arrival

The home adviser says Hamid will face legal consequences only if an investigation finds him guilty

5h ago