কলেজশিক্ষার্থী হত্যা মামলায় নাট্যনির্মাতা রিংকু কারাগারে

এফআইআরে নাম না থাকলেও পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিংকুকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রাফাত মজুমদার রিংকু। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গুলশানে কলেজশিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাঈমুর রহমান নিহতের ঘটনায় করা মামলায় নাট্যনির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

গতকাল রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. রাজু আহমেদ তাকে আদালতে হাজির করলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই বিকেলে প্রগতি সরণিতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর হামলা ও গুলিতে গুলশান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমানসহ অনেকে আহত হন। তাদের বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাইমুর।

এ ঘটনায় নাইমুরের বাবা খলিলুর রহমান পরে শেখ হাসিনাসহ ৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এফআইআরে নাম না থাকলেও পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিংকুকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আজ আদালতে জমা দেওয়া ফরোয়ার্ডিং রিপোর্টে বলা হয়, হামলার সময় রিংকু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।

আদালতের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রিংকু বলেন, তিনি কখনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিলেন না। তাছাড়া তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। তাকে হয়রানি করার জন্যই মামলায় জড়ানো হয়েছে। 

শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

তবে তার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন বিচারক।

Comments