চাঁদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অন্তত ৩০

হাজীগঞ্জ বাজারে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাতে সেখানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
প্রতীকী ছবি | স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। 

হাজীগঞ্জ বাজারে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাতে সেখানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মমিনুল হক হাজীগঞ্জ বাজারে দলীয় এক সভায় হাজীগঞ্জ বাজার, বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে নেওয়ার বিষয়ে দলীয় লোকজনকে নির্দেশ প্রদান করেন। তার 'দীর্ঘ ১৫ বছর এসব স্থান আওয়ামী লীগের দখলে ছিল, এখন এগুলো আমাদের দখলে নিতে হবে' এমন নির্দেশনা পেয়ে সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইমাম হোসেন ও পৌর যুবদল আহ্বায়ক সেলিম মিজির গ্রুপের আধিপত্য সৃষ্টি হয়। একে কেন্দ্র করে এই দুই গ্রুপের মধ্যে গতকাল রাত ১টায় উত্তেজনা ও সংঘর্ষ হয়। 

তারা আরও জানান, আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর পুনরায় সংঘর্ষ শুরু হলে তা রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে। হাজীগঞ্জ বাজারে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো বাজারের লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এর ফলে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে যান চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এখনো সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা খবর পেয়ে রাতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাজারে অবস্থান নিয়ে পরিবেশ শান্ত করেছি। তবে হাজীগঞ্জ সরদার বাড়ি ও টোরাগড় এলাকার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। অনেকেই আহত হয়েছেন।'

হাজীগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মাজহারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আহত ২০ জন হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে শাহাদাত, সায়মন ও আহসানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি। শুনেছি তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। কিন্তু এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Unrest emerges as a new threat to RMG recovery

The number of apparel work orders received by Bangladeshi companies from international retailers and brands for the autumn and winter seasons of 2025 dropped by nearly 10 percent compared to the past due to major shocks from the nationwide student movement and labour unrest in major industrial belts over the past two and half months.

11h ago