৬ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক বিচারপতি মানিককে

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদাবর, লালবাগ ও বাড্ডা থানায় দায়ের করা ছয়টি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মানিককে আদাবরের পোশাক শ্রমিক রুবেল, লালবাগের কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ এবং বাড্ডার সুমন সিকদার, হাফিজুল সিকদার, তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকি আল ফারাবি ওই ছয়টি হত্যা মামলায় মানিককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

আজকের শুনানিতে মানিক আদালতকে বলেন, তিনি নির্দোষ এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাবেক এই বিচারপতিকে আদালতে আনা হয়।

গতকাল সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কান্তি দাস অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে সিলেটের কানাইঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় মানিকের জামিন মঞ্জুর করেন।

২৩ আগস্ট রাতে কানিঘাট উপজেলার দোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মানিককে আটক করে বিজিবি।

পরদিন সিলেট মহানগর হাকিম আলমগীর হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় মানিককে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান।

এরপর কানাইঘাট থানায় পাসপোর্ট আইনে 'অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা'র অভিযোগে মামলা করে পুলিশ।

তখন মানিককে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় একদল লোক তাকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে।

কয়েকজন যুবক তাকে মারধরের চেষ্টাও করলেও পুলিশ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাকে নিরাপদে আদালত কক্ষে নিয়ে আসে।

ওই রাতেই মানিককে সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার একটি অস্ত্রোপচার হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১২ সেপ্টেম্বর তাকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago