ত্বকী হত্যা: ন্যায়বিচারের ব্যাপারে আশাবাদী পরিবার

ত্বকী হত্যা
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বর্ষপূর্তির একদিন আগে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব জানিয়েছিল, এই হত্যা মামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন তারা। যেকোনো দিন আদালতে জমা পড়বে অভিযোগপত্র। কিন্তু এরপর এই মামলার আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

ত্বকী হত্যায় ওসমান পরিবারের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের বাঁচাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'নির্দেশে' এই তদন্ত আটকে ছিল বলে বরাবরই অভিযোগ করেছেন ত্বকীর পরিবার।

১০ বছর পর গত কয়েকদিনে এই মামলায় চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। র‌্যাব জানায় গ্রেপ্তার হওয়া সবাই আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠজন। আজমেরী ওসমান প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা।

র‍্যাব বলছে, অনেক বছর আটকে থাকলেও তারা এখন মামলাটির তদন্ত দ্রুত শেষ করতে চায়। র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেছেন তিন মাসের মধ্যে মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

র‌্যাবের এই তৎপরতায় ন্যায়বিচারের ব্যাপারে আশাবাদী ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি।

রফিউর রাব্বি

বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একবছরের মাথায় র‌্যাবের তদন্তে সব বেরিয়ে এসেছিল। ওসমান পরিবারের টর্চার সেলে ত্বকীকে কীভাবে হত্যা করে শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলা হলো সবই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল র‌্যাব। কিন্তু যখনই শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেন, তখনই এই মামলার সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।'

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পেরিয়েছে একমাস। এই সময়ের মধ্যেই ত্বকী হত্যা মামলাটির অগ্রগতি দেখে 'ন্যায়বিচার' নিয়ে আশাবাদী রাব্বি বলেন, 'র‌্যাবের তৎপরতায় আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তাছাড়া, এই মামলার তদন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্ধ ছিল। এখন যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের নাম অপর এক আসামির জবানবন্দিতে এসেছিল কিন্তু তারা কখনই গ্রেপ্তার হননি। তদন্ত কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে এগোচ্ছে বলে মনে করি। আমরা চাই, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সবাই যেন আইনের আওতায় আসে। নিরীহ ও নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।'

২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় ত্বকী। পরদিন তার 'এ' লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়, যেখানে দেখা যায় ত্বকী পদার্থবিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ ২৯৭ পেয়েছিলেন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ত্বকীর লাশ উদ্ধারের পর রফিউর রাব্বি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে ওই বছরের ১৮ মার্চ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জহিরুল ইসলাম পারভেজ ওরফে ক্যাঙারু পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাত বিন ওসমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে সম্পূরক অভিযোগ জমা দেন।

পরে রফিউর রাব্বির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছরের ২০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করে।

মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে র‌্যাব-১১। সম্প্রতি মামলাটির অগ্রগতি নিয়ে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশার সাথে কথা হয় ডেইলি স্টারের এ প্রতিবেদকের।

তিনি জানান, এক বছরের মাথায় ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিল তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। কিন্তু এর পর 'প্রচ্ছন্ন চাপে' ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত আর এগোয়নি।

'২০১৩ সালেই তৎকালীন অধিনায়কের অধীনে ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত মোটামুটি শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিল। তখনই ওই অফিসার বদলি হন। এর পর তদন্ত কাজটা একেবারে থেমে যায়নি কিন্তু গতিটা মন্থর হয়ে যায়। আমরা তদন্তে অনেকের নাম পেয়েছিলাম কিন্তু সবাইকে তখন খুঁজে পাইনি। গতবছর থেকে র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের তদন্ত শাখা আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের ব্যাটেলিয়নের লিগ্যাল অফিসার তদন্ত শাখার প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন, গাইডলাইন নিয়ে এসেছেন। এই মামলাটির তদন্ত কাজ শেষ করার জন্য একটি কমিটিও করা হয়েছে।'

গত ৮ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর; এই চারদিনে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে শাফায়েত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া, কাজল হাওলাদার ও জামশেদ শেখ নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। চারজনকেই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‌্যাব।

এর আগে ত্বকী হত্যার কয়েকমাসের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ওরফে ভ্রমর, তায়েবউদ্দিন জ্যাকি, রিফাত বিন ওসমান ও সালেহ রহমান সীমান্ত। সবাই পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর লিটন এবং ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনা থেকে হত্যা পর্যন্ত সব ঘটনার বিবরণও দিয়েছিলেন।

ভ্রমরের স্বীকারোক্তিতে দেওয়া তথ্য ও পূর্ববর্তী তদন্তের সূত্র ধরে শিপন, মামুন, কাজল ও জামশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।

এই মামলাটির জন্য একটি 'শক্ত অভিযোগপত্র' জমা দেওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, 'তদন্তটা ভালোভাবে করতে গেলে কিছু সময় দিতে হবে। আরও কিছু আসামির অ্যারেস্ট হবার প্রয়োজন আছে। (তদন্ত) রিপোর্ট সাবমিট করার পর তদন্ত অফিসারকে কোর্টে কিন্তু এইটা ডিফেন্ড করতে হবে। তবে আমরা এইটা তিনমাসের মধ্যেই দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা আর দেরি করতে চাই না।'

এই মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আজমেরী ওসমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আসলেও তাকে কখনও আইনের আওতায় আনা হয়নি। আজমেরী ওসমান এই দীর্ঘ সময় শহরে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। যদিও ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওসমান পরিবারের সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এতদিন কেন তদন্তে গতি ছিল না জানতে চাইলে তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, 'তদন্ত বন্ধ করে রাখা বা কাউকে ধরা যাবে না, এমন অফিসিয়াল কোনো নির্দেশনা আমাদের ওপর ছিল না। কিন্তু একটা প্রচ্ছন্ন চাপ তো কাজ করেছেই। শতভাগ দিয়ে আমরা কাজ করতে পারিনি, এটা অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা। কেননা আমাদের কাজ করার আরও অনেক সুযোগ ছিল। আমি যদি বলি, কেউ আমাকে নিষেধ করেছে সেটা ভুল বলা হবে, কিন্তু সময়টা তখন সঠিক ছিল না। বরং এখনকার সময়টা বেটার একটা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য।

তিনি বলেন, 'আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি, একটা নিরপেক্ষ তদন্ত রিপোর্ট দেব। এক্ষেত্রে নতুন কেউ ইনক্লুডেড হবেন কিনা তা তদন্ত শেষ করলেই জানতে পারবেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অপরাধীদের কেউ যেন বাদ না পড়ে। আবার রাজনৈতিক কারণে অযথা কারও নাম যুক্ত করা হবে না।'

ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বির অভিযোগ, শামীম ওসমানের নির্দেশে তার ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন, ভাতিজা আজমেরী ওসমান ও তাদের সহযোগীরা মিলে ত্বকীকে অপহরণের পর নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা শহর ছেড়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, তারা দেশ ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, 'আসামি পলাতক থাকলেও বিচার কিন্তু চলতে থাকবে। তদন্ত করে আমরা রিপোর্ট দেব, বাকিটা আদালতে নির্ধারণ হবে। সেক্ষেত্রে বাদী, বিবাদী উভয়ের আপত্তি জানানোর সুযোগ আছে। এমনকি বিচারকাজ চলাকালীন নতুন কারও নামও আসতে পারে।'

যা ছিল ফাঁস হওয়া র‌্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনে

ত্বকীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর কয়েক দিন আগে র‌্যাব জানিয়েছিল, তারা হত্যার রহস্য ভেদ করেছে এবং এমনকি একটি খসড়া তদন্ত প্রতিবেদনও তৈরি করেছে। ২০১৪ সালের মার্চে আজমেরী ওসমানসহ ১১ জনের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা র‌্যাবের খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে ফাঁস হয়।

ত্বকীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর একদিন আগে, র‌্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান গণমাধ্যমে বলেছিলেন, তাদের কাছে ১১ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে এবং এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র যেকোন দিন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

র‌্যাবের ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ত্বকী হত্যার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সরাসরি হত্যাকাণ্ডেও অংশ নিয়েছিলেন আজমেরী। তার নির্দেশে, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ তার সহযোগীরা ত্বকীকে অনুসরণ করে এবং তাকে অপহরণ করে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে উইনার ফ্যাশনে তার 'টর্চার সেলে' নিয়ে যায়।

পরে ওই রাতে, আজমেরী এবং তার সহযোগীরা ১৭ বছর বয়সী ত্বকীকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার লাশ বস্তায় ভরে আজমেরীর গাড়িতে করে চারারগোপ এলাকায় নিয়ে যায়।

সেখান থেকে রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে ঘাতকরা নৌকায় করে লাশ নিয়ে কুমুদিনী জোড়া খাল এলাকার শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়। পরদিন ৮ মার্চ নদী থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

র‌্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে রফিউর রাব্বি তার সমর্থকদের নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালায়। ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারেন শামীম ওসমান।

২০১৩ সালের ৭ আগস্ট আজমেরীর 'উইনার ফ্যাশন' অফিসে অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা জিন্স, পিস্তলের বাট এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম জব্দ করে র‌্যাব। র‌্যাব কর্মকর্তারা দেয়াল, সোফা ও আলমারিতে বেশকিছু গুলির চিহ্নও দেখতে পান।

ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে ত্বকী হত্যায় ১১ জন অভিযুক্তের প্রত্যেকের ভূমিকার কথা সবিস্তারে উল্লেখ করা হয়।

আজমেরী ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ওরফে ভ্রমর, তায়েবউদ্দিন জ্যাকি, রাজীব, কালাম শিকদার, মামুন, অপু, কাজল, শিপন ও জামশেদ হোসেন।

অভিযুক্ত লিটন, ভ্রমর, জ্যাকি এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রিফাত বিন ওসমান ও সালেহ রহমান সীমান্তকে গ্রেপ্তারও করে র‌্যাব। তবে পরে সবাই জামিনে বেরিয়ে আসেন।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই বছরের জুলাই এবং নভেম্বর মাসে যথাক্রমে লিটন এবং ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনা থেকে হত্যা পর্যন্ত সব ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে ভ্রমর আদালতে জবানবন্দিতে তার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারেরও আবেদন জানিয়েছিলেন।

ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে সাড়ে ১১ বছর ধরে আন্দোলন চলছে। প্রতিমাসের ৮ তারিখ নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াইল ইসলাম কাজল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ত্বকীর লাশ ছুঁয়ে শপথ করেছিলাম, এই বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এই মামলাটির বিচার শেখ হাসিনা যে আটকে রেখেছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় সরকার পতনের মাত্র একমাসের মধ্যে চারজনের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টির মধ্য দিয়ে। আমরা কখনই ত্বকী হত্যার বিচারের আশা ছাড়িনি, এই বিচার হবেই এবং দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

33m ago