যৌথ রেকর্ড থেকে ফিঞ্চ-ম্যাক্সওয়েলের নাম হটিয়ে চূড়ায় ইংলিস

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন তিনি।
ছবি: এএফপি

ব্র্যাড কারির পরপর দুই বল ছক্কা উড়িয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছালেন জশ ইংলিস। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে চূড়ায় পৌঁছে গেলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন তিনি। ফলে পেছনে পড়ে গেলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

শুক্রবার এডিনবরায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ঝড় তোলেন ইংলিস। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার উত্তাল ব্যাট থেকে আসে সমান সাতটি করে চার ও ছক্কা। অজিদের ইনিংসের ১৮তম ওভারে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে তার লাগে মাত্র ৪৩ বল।

দ্রুততম সেঞ্চুরির আগের রেকর্ড ছিল ইংলিসসহ যৌথভাবে তিন জনের। বাকি দুজন হলেন সাবেক অধিনায়ক ফিঞ্চ ও অলরাউন্ডার ম্যাক্সওয়েল। প্রত্যেকেই এই সংস্করণে জাতীয় দলের জার্সিতে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছিলেন ৪৭ বলে। ফিঞ্চ ২০১৩ সালে এবং ইংলিস ও ম্যাক্সওয়েল ২০২৩ সালে পেয়েছিলেন সেই স্বাদ।

আরও একটি রেকর্ডে ভাগ বসালেন ২৯ বছর বয়সী ইংলিস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্বীকৃত উইকেটরক্ষকদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের পাশে বসলেন তিনি। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ডি কক।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়নি ভালো। দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার ট্রাভিস হেড। এরপর ক্রিজে যান ইংলিস। তিনি উইকেটে থিতু হওয়ার আগে বিদায় নেন আরেক ওপেনার জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কও।

২৩ রানে ২ উইকেট পড়ার চাপ জেঁকে বসতে দেননি ইংলিস। কারিকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট নিয়ে চার মেরে রানের খাতা খোলার পর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে চড়াও হন ব্র্যাড হুইলের ওপর। তার দুটি ছক্কা ও একটি চারে ওই ওভার থেকে আসে মোট ১৯ রান।

নবম ওভারে মার্ক ওয়াটের বল সীমানার বাইরে ফেলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান ইংলিস। মাত্র ২০ বলে। ১৪তম ওভারে ক্রিস গ্রিভসের বল বিশাল ছক্কায় তিনি মাঠের বাইরে পাঠালে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। এরপর ১৮তম ওভারে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার হিসেবে এই সংস্করণে একাধিক সেঞ্চুরির নজির গড়েন ইংলিস। সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি আছে ম্যাক্সওয়েলের। দুটি করেছেন ফিঞ্চ।

পরের ওভারেই থামে ইংলিসের তাণ্ডব। ক্রিস্টোফার সোলকে ডাউন দ্য উইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে তিনি ক্যাচ দেন রিচি বেরিংটনের হাতে। ততক্ষণে বড় পুঁজি পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায় অজিদের। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে সফরকারীরা।

লক্ষ্য তাড়ায় নামা স্কটিশরা লড়াই জমাতে পারেনি মোটেও। ২০ বল বাকি থাকতে তারা গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে। বোলারদের সম্মিলিত অবদানের মাঝে অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস শিকার করেন ২৩ রানে ৪ উইকেট। ৭০ রানের বিশাল জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে মিচেল মার্শের নেতৃত্বাধীন দলটি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

5h ago