এবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের কোচ ম্যাককালাম

ছবি: এএফপি

ইংল্যান্ড টেস্ট দলের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আগে থেকেই ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা ব্যাটারের দায়িত্ব এবার আরও বাড়ল। তাকে ইংলিশদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচ হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হলো।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আগামী ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই ইংলিশদের প্রধান কোচের ভূমিকায় থাকবেন তিনি। অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে লাল বলে তার চুক্তির মেয়াদ।

তবে এখনই সীমিত ওভারের দুই সংস্করণের কোচ হচ্ছেন না ৪২ বছর বয়সী ম্যাককালাম। আগামী বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেবেন তিনি। ওই মাসে ভারত সফরে যাবে ইংল্যান্ড। এরপর তারা অংশ নেবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।

বর্তমানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের ভূমিকায় আছেন মার্কাস ট্রেসকোথিক। তার অধীনে চলতি মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে থ্রি লায়ন্সরা। এরপর আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে দায়িত্ব শেষ করবেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটার।

সাদা বলের পাকাপাকি কোচ হিসেবে ম্যাথু মটের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ম্যাককালাম। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ভীষণ হতাশাজনক পারফরম্যান্সে প্রবল চাপের মধ্যে ছিলেন মট। পরে গত জুলাইয়ের শেষদিকে দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে ম্যাককালাম প্রকাশ করেছেন উচ্ছ্বাস, 'টেস্ট দলের সঙ্গে আমার সময়টা আমি পুরোপুরি উপভোগ করছি। আর সাদা বলের দল পর্যন্ত আমার ভূমিকা বাড়াতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। এই নতুন চ্যালেঞ্জ সাদরে গ্রহণ করতে আমি প্রস্তুত। বর্তমান শক্তিশালী ভিত্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও উন্নতি করতে জস (সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বাটলার) ও দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আমি মুখিয়ে আছি।'

২০২২ সালের মে মাসে ম্যাককালাম টেস্ট দলের দায়িত্ব নেন। এরপর তার কোচিংয়ে ও বেন স্টোকসের নেতৃত্বে নতুন ঘরানার টেস্ট খেলে দারুণ সাফল্য পেয়ে সাড়া ফেলেছে ইংল্যান্ড। তাদের কৌশল খ্যাতি অর্জন করেছে ম্যাককালামের ডাক নাম 'বাজ' অনুসারে 'বাজবল' হিসেবে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

16h ago