ফ্রান্সে টেলিগ্রামের সিইও পাভেলের গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন মাখোঁ

টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: এএফপি/কোলাজ
টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: এএফপি/কোলাজ

সম্প্রতি ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ । বেশ কয়েকটি দেশের পাশাপাশি ফ্রান্সের পাসপোর্টও আছে পাভেলের।

এ প্রসঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভকে ফরাসি নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টিতে কোনো ভুল ছিল না। বস্তুত, পাভেল জন্মগতভাবে রাশিয়ার নাগরিক। কিন্তু তার কাজের জন্য ফ্রান্স তাকে ফরাসি নাগরিকত্ব দিয়েছিল।'

মাখোঁ জানিয়েছেন, 'যারা ফরাসি ভাষা রপ্ত করে নিতে পারেন এবং কাজের জগতে বিশেষ অবদান রাখতে পারেন, তাদের ফরাসি নাগরিকত্ব দেয়া হয়। পাভেলের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। ফলে এখন যারা তাকে নাগরিকত্ব দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, আমি তাদের সঙ্গে একমত নই।'

গত শনিবার ফ্রান্সের একটি বিমানবন্দর থেকে পাভেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপটি তার কনটেন্ট বা বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখছে না। এই অ্যাপের মাধ্যমে অরক্ষিত ও অপরাধমূলক বার্তা আদানপ্রদান হচ্ছে। সাইবার অপরাধ ও  ফৌজদারি আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর অবশ্য ফরাসি আদালত তাকে ৫০ লাখ ইউরোর বন্ডে জামিন দিয়েছে। শর্ত হলো সপ্তাহে দুই বার স্থানীয় থানায় গিয়ে তাকে হাজিরা দিতে হবে। ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন না তিনি, এ শর্তও জুড়ে দিয়েছে আদালত।

পাভেলের আইনজীবী জানিয়েছেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমস্ত নিয়ম মেনেই টেলিগ্রামের কার্যক্রম পরিচালনা হয়। ফলে আইনের কোথাও কোনো লঙ্ঘন হয়নি।

শুধু তাই নয়, পাভেলের দাবি, তিনি ফ্রান্সে আসছিলেন মাখোঁর সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু মাখোঁ জানিয়েছেন, পাভেলকে এমন কোনো আমন্ত্রণ ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে দেয়া হয়নি। একইসঙ্গে তার বক্তব্য, পাভেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত।

রাশিয়ার বক্তব্য

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। ছবি: রয়টার্স

এদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পাভেল ষড়যন্ত্রের শিকার। ফ্রান্সকে হুশিয়ারি দিয়ে পেসকভ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণে পাভেলের এই গ্রেপ্তার রাশিয়া কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

পাভেল সংযুক্ত আরব আমিরাতেরও নাগরিক। সেখান থেকেই টেলিগ্রামের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সে দেশের সরকার জানিয়েছে, গোটা বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে এবং ফ্রান্সের সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে।

রয়টার্স, এএফপি, এপি

 

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

4h ago