জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত

জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই আইন বাতিলের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার সুবিধা থাকছে না।

সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে 'বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন বাতিল করার প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে "জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল বৈষম্য দূর করতে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে। সংসদ কার্যকর না থাকায় এই আইনটি রহিত করতে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এই প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক কর্তৃক 'জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়।

অন্যদিকে 'বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১' সংশোধনের ব্যাপারে বলা হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স এর আওতায় প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ ছাড়া বিদ্যমান আইনের আওতায় 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর পরিবারের সদস্যগণের' নিরাপত্তা প্রদান সংক্রান্ত বিধানসমূহ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় কার্যকর করা সম্ভব নয়। তাই এই আইনের কতিপয় বিধান বিলোপসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি সংযোজনপূর্বক 'বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪' উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

2h ago