কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হয়নি

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি স্লুইসগেট। ছবি: স্টার

দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে পানি ছাড়ার তথ্যটি সঠিক নয়। পানি ছাড়ার মতো অবস্থা হলে ছয় ঘণ্টা আগেই গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পানি ছিল ১০৩ এমএসএল। আরও ছয় এমএসএল বাড়লে পানি ছাড়তে হবে এবং ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে মাইকিং নয়, গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হবে।'

বন্যায় রাঙ্গামাটি জেলায় ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলাতেই ডুবেছে ১২ হাজারের বেশি ঘর-বাড়ি। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে ফসলের জমি, ভেসে গেছে মৎস্য খামার।

টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রূপনগর, লোকনাথ মন্দির ও শিমুলতলীসহ ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।

টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে রাঙ্গামাটির বহু পথ-ঘাট। ছবি: স্টার

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি, মানিকছড়িসহ আরও কয়েকটি এলাকায় তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি ডুবেছে। ইতোমধ্যে  পানিবন্দি বহু মানুষকে উদ্ধার করে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।' 

রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. দিদারুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্যা মোকাবিলায় আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছি। আজ সকাল থেকেই দুর্গত এলাকায় আমাদের ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।'

Comments