চীনে ১১টি নতুন পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের ঘোষণা

জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা ও কার্বন নি:সরণ কমানোর অঙ্গীকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
চীনের জিয়াংসু প্রদেশে পারমাণবিক চুল্লি। ছবি: রয়টার্স (ফাইল)
চীনের জিয়াংসু প্রদেশে পারমাণবিক চুল্লি। ছবি: রয়টার্স (ফাইল)

চীন সরকার দেশটির পাঁচটি অবস্থানে নতুন করে ১১টি পারমাণবিক চুল্লি বসানোর উদ্যোগে অনুমোদন দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা ও কার্বন নি:সরণ কমানোর অঙ্গীকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্টেট কাউন্সিলের নির্বাহী বৈঠকে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম শিনহুয়া।

চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার পাওয়ার নামের সংস্থাটি তিনটি চুল্লি নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছে। তারা চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে এই তথ্য জানায়। অপরদিকে, স্টেট পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন জানিয়েছে, তারা দুইটি ইউনিটের অনুমোদন পেয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত চায়না জেনারেল নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পের তালিকাভুক্ত অঙ্গসংগঠন সিজিএন পাওয়ার কো. হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে ফাইল জমা দিয়ে জানিয়েছে, তারা তিনটি অবস্থানে ছয়টি চুল্লি বসানোর অনুমতি পেয়েছে।

চীনের গুয়াংজি প্রদেশে নির্মাণাধীন পারমাণবিক চুল্লি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
চীনের গুয়াংজি প্রদেশে নির্মাণাধীন পারমাণবিক চুল্লি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

এ মুহূর্তে চীনে ৫৬টি পারমাণবিক চুল্লি কার্যকর রয়েছে। এই চুল্লিগুলো দেশটির মোট বিদ্যুৎ চাহিদার পাঁচ শতাংশ মেটায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব পরমাণু সংস্থা।

নতুন চুল্লিগুলো জিয়াংসু, শাংডং, ঝেজিয়াং ও গুয়াংজি প্রদেশে স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম চায়না এনার্জি নিউজ।

চীনের ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রকাশনা জিমিয়ান জানিয়েছে, এই ১১টি চুল্লির জন্য মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ২২ হাজার কোটি ইউয়ান (তিন হাজার ৮০ কোটি ডলার) এবং নির্মাণে সময় লাগতে পারে পাঁচ বছর।

২০৬০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নি:সরণের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে চীন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago