রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ৭ হাজার কোটি টাকা খেলাপি

ঋণ খেলাপি, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থনীতি,

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নথিতে বলা হয়েছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠিত রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে বিতরণ করা প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার বা সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ঢাকার কোম্পানিগুলোর খেলাপির পরিমাণ ৫৫৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার। চট্টগ্রামের কোম্পানিগুলোর খেলাপি ২৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার।

এই তহবিলের অর্থ খেলাপির তালিকায় থাকা ঢাকার শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে আছে- ক্রিসেন্ট গ্রুপের রেমেক্স ফুটওয়্যার ৬৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার, একই গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টসের ৫৮ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার এবং রূপালী কম্পোজিটের ৫১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিসমিল্লাহ গ্রুপের আলফাহ কম্পোজিটের খেলাপি ৫৮ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস ৪১ মিলিয়ন ডলার এবং হিন্দুলাওয়ালি টেক্সটাইল ১৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।

প্রসঙ্গত, কয়েক বছরে ধরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে, অথচ দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে এই ঋণ আদায়ে কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে দেশের বৈদেশিক হিসাবের ওপর চাপ বেড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লিনে ফ্যাশনের খেলাপি ৩২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার এবং এসবি এক্সিমের ৩১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার।

এমএস এসকিউ ক্লাসিকের খেলাপি ২৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার এবং ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলের ২৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।

মূলত কাঁচামাল আমদানিতে রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে ১৯৮৯ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইডিএফ গঠন করে। এই তহবিলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে অর্থায়ন করা হয়

আরেক প্রতিষ্ঠান ইএসএস ইএস ফ্যাশন এই তহবিল থেকে ২৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিল।

২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইডিএফের আকার ছিল ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। করোনা মহামারির পর পর্যায়ক্রমে তা বাড়িয়ে সাত বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়।

আগে ইডিএফ থেকে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ যোগ করে রিজার্ভের পরিসংখ্যান প্রকাশ করত বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ২৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

1h ago