উত্তরা-পূর্ব থানা এলাকায় সোমবার বিকেলের ৫ ঘণ্টা

উত্তরা-পূর্ব থানা। ছবি: স্টার

গতকাল সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বিকেল ৪টার দিকে উত্তরায় বের হয়  আনন্দ মিছিল।

একটি মিছিল উত্তরা-পূর্ব থানার কাছে গেলে, মিছিল থেকে পুলিশের সাঁজোয়া যানে (এপিসি) ইট-পাটকেল ছোড়া হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় এপিসি থেকে দুই পুলিশ সদস্য বের হয়ে মিছিল লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

এতে মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে থানা ও এপিসিটি লক্ষ্য করে অনবরত ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে ও থানার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে।

তখন পুলিশ এলোপাতারি গুলি ছোড়া শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অন্তত ১০ জন। রক্তে ভিজে যায় সড়ক।

সে সময় ঘটনাস্থলে এবং ওই এলাকায় উপস্থিত ছিলেন এই প্রতিবেদক। তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ ওই ১০ জনকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ও কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে গেলে বিভিন্ন দিক থেকে কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা সেখানে এসে থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে, থানা লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুরতে থাকে।

তখন বাইরে থাকা ওই দুই পুলিশ সদস্য দৌড়ে থানায় ঢুকে চারতলা ভবনের ছাদে উঠে যায় এবং সেখান থেকে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও বন্দুক থেকে গুলি ছুড়তে থাকে।

ছাদ থেকে ওই দুই পুলিশ সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাস্তায় থাকা জনতা লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে অন্তত শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়। 
তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে, আরও অন্তত ১৫ জনকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।

তবে, উত্তরা-পশ্চিম থানার চিত্র ছিল ভিন্ন। ওই থানায়ও গতকাল বিকেলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। কিন্তু থানায় অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা উত্তেজনা প্রশমিত করতে সক্ষম হন। সেখানে হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।  

 

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

3h ago