সাঁতারে শেষ পর্যন্ত মার্কিনীদেরই রাজত্ব

রোববার পর্যন্তও এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া

অলিম্পিকের অন্যতম জমজমাট ইভেন্ট সাঁতার। অনেক বছর ধরেই এই ইভেন্টে রাজত্ব করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তাদের সঙ্গে লড়াইটা হতো অস্ট্রেলিয়ার। ১৯৫৬ সালের পর থেকে কখনোই মার্কিনীদের টপকাতে পারেনি তারা। তবে এবার ভিন্ন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। রোববার পর্যন্তও এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষ দিনে দুটি স্বর্ণ জিতে শীর্ষে থেকেই শেষ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

লা ডিফেন্সে অ্যারেনায় সোমবার দিনের প্রথম পদকে লড়াইয়ে ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে সোনা জিতে নিয়েছেন সুইডেনের সারাহ শ্রোস্ট্রম। ২৩.৭১ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়েছেন এই সুইডিশ সাঁতারু। এর আগে ১০০ মিটারেও স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি। এই ইভেন্টে রূপা হারিস মেগ ও ব্রোঞ্জ ঝ্যাং ইউফেই।

দ্বিতীয় ইভেন্টে ছেলেদের ১৫০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ১৪ মিনিট ৩০.৬৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন ববি ফিনকে। এর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ১৪ মিনিট ৩১.০২ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন চীনের সুন ইয়াং। এই ইভেন্টে রুপা জিতেছেন ইতালির গ্রেগোরিও পালত্রিনিয়েরি। ব্রোঞ্জ পেয়েছেন আয়ারল্যান্ডের ড্যানিয়েল উইফেন।

এরপর ছেলেদের ৪×১০০ মিটার মেডলি রিলেতে ৩ মিনিট ২৭.৪৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছে চীন। এই ইভেন্টে রুপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় হয়েছে মারশাঁর ফ্রান্স। সাঁতারের শেষ ইভেন্ট মেয়েদের ৪×১০০ মিটার মেডলি রিলেতে নিজেদের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩ মিনিট ৪৯.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়ে তারা। এর আগে ২০১৯ সালে ৩ মিনিট ৫০.৪০ সেকেন্ড নিয়ে রেকর্ড গড়েছিল তারা। এই ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়া রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতেছে চীন।

সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত সাঁতারে ৮টি সোনা জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ১৩টি রুপা ও ৭টি ব্রোঞ্জ জিতেছে দেশটি। তাতে পিছিয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭ সোনা, ৮ রুপা ও ৩ ব্রোঞ্জ নিয়ে দ্বিতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। ৪ সোনা জেতা মারশাঁর ফ্রান্স রয়েছে তৃতীয় স্থানে।

প্যারিসে সাঁতারের সেরা পাঁচ দল

দেশ স্বর্ণ রৌপ্য ব্রোঞ্জ মোট
যুক্তরাষ্ট্র ১৩ ২৮
অস্ট্রেলিয়া ১৮
ফ্রান্স
কানাডা
চীন ১২

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

4h ago