‘সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমে ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে বিএনপি-জামায়াত’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, 'তারা (জামায়াত-শিবির ও বিএনপি) ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।'
ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো আজ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব নুর এলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
উপপ্রেস সচিব জানান, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যায় অভ্যস্ত বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন যে তিনি চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
'আমরা সকলকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছি' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। যেহেতু পুরো দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে, এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রো রেলের ভাঙচুর করা টোল প্লাজার পরিষেবাগুলি পুনরায় চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।'
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সহিংসতাকারীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে তারা টার্গেট করে হামলা করেছে।
জনগণের সম্পদ ধ্বংস এবং জীবনহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত সম্পদ ধ্বংস বা গোটা বিষয়ের যেন বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, সে বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, 'সাম্প্রতিক এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।'
সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন, ইতালির রাষ্ট্রদূত তারও প্রশংসা করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।'
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন। তার কর্মক্ষেত্রের কেন্দ্রে থাকবে জ্বালানি, এসএমই, মহাকাশ প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণ খাত উল্লেখ করে তিনি আইনি অভিবাসন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, 'বিক্ষোভ বা কোনো ক্র্যাকডাউন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে ইতালিয়ান পুলিশের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইতালির পুলিশ ধাপে ধাপে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এই বিষয়ে তারা বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে চায়।'
প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এ্যাম্বাসেডর-এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
Comments