যেভাবে কাটছে তারকাদের শুটিংবিহীন সময়

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় প্রতিদিনই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন শোবিজ তারকারা। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই তাদের সময় কাটে। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতিতে থমকে যায় সবকিছু। বন্ধ হয়ে যায় শুটিংও।

শুটিংবিহীন এই সময় কীভাবে কাটছে, দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন কয়েকজন তারকা।

ছবি: সংগৃহীত

চঞ্চল চৌধুরী

শুটিং ছাড়া এত দিন ঘরে থাকা হয়নি অনেক বছর। এই সময়টায় ঘরেই আছি। ভিন্নভাবে সময় কেটেছে। প্রচুর টেলিভিশন দেখেছি। গত সাত বছরে এত সময় ধরে টেলিভিশন দেখা হয়নি। পাশাপাশি স্ত্রী-ছেলেসহ তিনজন মিলে সময় কাটিয়েছি। গ্রামের বাড়িতে মা আছেন। মায়ের শরীর তেমন ভালো না। আমাদের জন্য টেনশন করেন প্রচুর। গত কয়েকদিনে আরও বেশি টেনশন করেছেন মা। প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে কথা বলছি। নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে গত কয়েকদিনে। চাই সবকিছু সুন্দর হয়ে যাক। তারপর শুটিংয়ে ফিরব।

ছবি: সংগৃহীত

সিয়াম আহমেদ

শুটিং ছাড়া বেশকিছু দিন কাটালাম। আরও কিছুদিন কাটবে। সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পরই তো শুটিং নিয়ে চিন্তা করব। অনেকগুলো কাজ জমে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে বলতে পারছি না কবে নাগাদ শুটিংয়ে ফিরব। একটি কথা বলতেই হচ্ছে, প্রচণ্ড টেনশনে সময় পার করছি। দেশের এরকম অবস্থায় টেনশন তো হবেই। ভাবছি কখন সবকিছু ঠিক হবে, আর যেন কেউ মারা না যায়। একেবারেই যারা হত-দরিদ্র মানুষ, তাদের জন্য টেনশন হচ্ছে। তারা কীভাবে জীবনযাপন করবে। লাইটম্যান, শুটিংয়ের ছোট-খাট কাজ যারা করেন, তারা কীভাবে চলবেন? তাদের তো সংগ্রাম করে দিন পার করতে হয়। কাজেই টেনশনটা কমেনি। অবসর বলব না। গত কয়েকটি দিন অবসর ছিল না, টেনশনের দিন ছিল। আশা করছি সবকিছু আগের মতো হবে, তারপর শুটিংয়ে ফেরার কথা ভাবব। একটি কথা বলে রাখি, সামনে আমার সিনেমা 'জংলি' মুক্তি পাবে। আমার বিশ্বাস 'জংলি' দিয়ে ভালোমতো ফেরা হবে।

ছবি: সংগৃহীত

ফজলুর রহমান বাবু

গত কয়েকটি দিন খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। অস্থির সময় কাটিয়েছি। অপেক্ষা করছি সুন্দর সময়ের। আমি আশাবাদী মানুষ। আশা করছি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। গত কয়েকটি দিন বাসা থেকে একটিবারের জন্যও বের হইনি। স্ত্রী ও দুই কন্যার সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। কখনো গল্প করে, কখনো বই পড়ে, কখনো টেলিভিশন দেখেছি। বেশি পড়েছি বই। একটি নতুন বই পড়া শুরু করেছি, আবার সেটা রেখে আরেকটি হাতে নিয়েছি। স্বস্তি কাজ করেনি। কেমন যেন লেগেছে। এজন্য প্রেসারও বেড়ে গিয়েছিল। এরকম অস্থির সময় চাই না। যারা নাশকতা করেছে, তারা দেশের শত্রু। আমরা চাই সুন্দর হোক সবকিছু। শুটিং নিয়ে ভাবছি না। সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে শুটিং করতে পারব।

ছবি: সংগৃহীত

নোবেল

গত কয়েকদিন ধরে আসলেই অন্যরকমভাবে সময় কাটছে। এরকম সময় কিংবা পরিবেশ আমরা কেউ-ই আশা করিনি। আমি মনে করি সবার আগে দেশ, জন্মভূমি। দেশ সুন্দর থাকুক—এটাই সবসময় চাওয়া। তারপরও প্রতিটি দিন কেটেছে টেনশনে। টেলিভিশনের নিউজ দেখলেই মন খারাপ করেছে। এমন বৈরী পরিবেশের মধ্যেও আমাকে অফিসের জন্য কাজ করতে হয়েছে। আমার সন্তানরা বিদেশে পড়ালেখা করছে। ওদের জন্য এক ধরনের মায়া কাজ করেছে। সত্যি কথা বলতে চাই সবকিছু স্বাভাবিক হোক। লাখো শহীদের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ পেয়েছি, দেশটি সুন্দর থাকুক। কেননা, সবার আগে দেশ।

ছবি: সংগৃহীত

আবদুন নূর সজল

শুটিং থেকে আপাতত দূরে আছি। আরও বেশকিছু দিন শুটিং থেকে দূরে থাকতে চাই। বাসায় সময় কাটাচ্ছি। নানুর শরীর ভালো না—এজন্য টেনশন কাজ করছে। আমার বাসা ধানমন্ডিতে। আমার বাসার সামনের রাস্তায় অনেক ঝামেলা হয়েছে। সেজন্য ভয়ও কাজ করেছে। এখন ভয় কেটে গেছে। গত কয়েকটি দিন বই পড়ে সময় কাটিয়েছি। এমনিতেই আমি প্রচুর বই পড়ি। কিন্তু শুটিংবিহীন দিনগুলোতে বেশ কয়েকটি বই পড়েছি। আমাকে গোয়েন্দা উপন্যাস টানে। নতুন করে ফেলুদা পড়েছি। তা ছাড়া নতুন করে শার্লক হোমস পড়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও যে সুন্দর করে সময় কাটানো যায়, তা বই পড়ে বুঝেছি।

ছবি: সংগৃহীত

কেয়া পায়েল

ক্যারিয়ার শুরুর পর এত দীর্ঘ সময় শুটিংবিহীন থাকিনি। পুরো সময়টা পরিবারকে দিয়েছি। আপাতত শুটিং নিয়ে চিন্তা করছি না। বেঁচে থাকলে, সুস্থ থাকলে নতুন করে শুটিং করতে পারব। শুটিং ছাড়া সময় কেটেছে নানাভাবে। প্রথমত পরিবারকে সময় দিয়েছি প্রচুর। এখনো দিচ্ছি। পাশাপাশি অনেক ঘুমিয়েছি। এভাবে আরাম করে অনেক বছর ঘুমাতে পারিনি। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছি। একটার পর একটা সিনেমা দেখে দারুণ লেগেছে। সব মিলিয়ে অন্যরকম করে সময় কাটিয়েছি।

Comments

The Daily Star  | English

What's causing the unrest among factory workers?

Kalpona Akter, labour rights activist and president of Bangladesh Garment and Industrial Workers Federation, talks to Monorom Polok of The Daily Star about the recent ready-made garments (RMG) workers’ unrest.

8h ago