জ্বালানি তেল বিক্রি কমেছে ৮৯.৩ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত

কোটা আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হওয়া সংঘর্ষের জেরে গত শুক্রবার কারফিউ ঘোষণা করে সরকার। এই সময়ে যান চলাচল তেমন একটা না হওয়ায় জ্বালানি তেল বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

সবচেয়ে বেশি ৯৮ শতাংশ বিক্রি কমেছে ডিজেলের। এ ছাড়া, পেট্রোল বিক্রি ৮২ শতাংশ ও অকটেন বিক্রি কমেছে ৮৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি ৮৯ দশমিক তিন শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জ্বালানি তেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিপিসির চেয়ারম্যান আমিনুল আহসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল মজুত রয়েছে। দেশে ঘটে যাওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে দুই দিন বিভিন্ন ডিপো বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন সব ডিপোর কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। গত কয়েকদিন কারফিউর কারণে যানবাহন চলাচল না থাকায় জ্বালানি তেলের বিক্রি কমেছে।

অন্যদিকে দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে।

বিপিসির পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, সোমবার দেশের বিভিন্ন ডিপো থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন ডিজেল বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া, ১৭৫ মেট্রিক টন অকটেন ও ২৯৫ মেট্রিক টন পেট্রোল বিক্রি হয়েছে। আর ফার্নেস অয়েল বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন।

এর আগে শনিবার বিক্রির পরিমাণ আরও কম ছিল। সেদিন সারাদেশে ডিজেল বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন, অকটেন ৪২ মেট্রিক টন ও পেট্রোল বিক্রি হয়েছে ১৬০ মেট্রিক টন। সেদিন ফার্নেস অয়েল বিক্রি হয়নি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই সারাদেশে ডিজেল বিক্রি হয়েছিল ১১ হাজার মেট্রিক টন, অকটেন এক হাজার মেট্রিক টন ও পেট্রোল বিক্রি হয়েছিল এক হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।

বর্তমানে দেশে ডিজেলের দৈনিক চাহিদা ১৫ হাজার মেট্রিক টন। এ ছাড়া অকটেনের চাহিদা দেড় হাজার মেট্রিক টন ও পেট্রোলের চাহিদা রয়েছে এক হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।

ডিপো পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, রংপুর, দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে কৃষি কাজের জন্য এখন ডিজেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই রেলওয়াগন যোগে ওই অঞ্চলে ডিজেল সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

দেশের উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কারফিউর মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় দেশের চার বিমানবন্দরে জেট ফুয়েল সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিপিসি চেয়ারম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

What's causing the unrest among factory workers?

Kalpona Akter, labour rights activist and president of Bangladesh Garment and Industrial Workers Federation, talks to Monorom Polok of The Daily Star about the recent ready-made garments (RMG) workers’ unrest.

8h ago