শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগতম, আজকেই বসতে প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলাপ-আলোচনার প্রস্তাবকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। তারা যখনই বসতে রাজি হবে, আমরা সেটা যদি আজকে হয়, আজকেই বসতে রাজি আছি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'তাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আলোচনার জন্য আমাকে; আইনমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে বসবো এবং আমরা এটাও বলতে চাই যে, তারা যখনই বসতে রাজি হবে, আমরা সেটা যদি আজকে হয়, আজকেই বসতে রাজি আছি।'

তিনি বলেন, 'দ্বিতীয়ত প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘোষণা দিতে বলেছেন যে, আগামী ৭ আগস্ট যে মামলা শুনানির কথা ছিল, সেই মামলার শুনানি এগিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নিতে। আমি সেই মর্মে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছি যে, আগামী রোববার তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আবেদন করবেন। যাতে মামলাটার শুনানির তারিখ তারা এগিয়ে আনেন।

'তৃতীয়ত, গতকাল প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খন্দকার দিলরুজ্জামানকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে,' যোগ করেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমরা দেখেছি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যালোচনা সবই করেছি। কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন যে শিক্ষার্থীরা, তাদের কিন্তু এই কটা দাবিই ছিল। যেহেতু সরকার তাদের দিক বিবেচনা করে এই দাবিগুলোতে রাজি হয়েছেন, আমার মনে হয় আজকে থেকে আন্দোলন করার আর কোনো প্রয়োজন নাই। আমি সেই কারণে তাদের আহ্বান জানাচ্ছি, একজন পিতৃতুল্য নাগরিক হিসেবে আমি তাদের অনুরোধ করছি, তারা যেন এই সহিংসতা বন্ধ করে এবং এই আন্দোলন প্রত্যাহার বা স্থগিত করে।'

সরকার আদর্শিকভাবে কোটা সংস্কারের পক্ষে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'আমি পরিষ্কারভাবে একটা কথা বলতে চাই, মামলাটা আদালতে আছে। তাও সর্বোচ্চ আদালতে।  যখন আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হবে, সরকার পক্ষ কোটার ব্যাপারে একটা প্রস্তাব দেবে এবং আমার মনে হয়, আমরা যেহেতু সংস্কারের পক্ষে, আমরা প্রস্তাব দেবো কোটা সংস্কার করার জন্য। সে জন্য আপনারা বলতে পারে আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে।'

পরিস্থিতির এত অবনতি হওয়ার আগে নির্বাহী বিভাগ কেন সিদ্ধান্ত নিলো না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে। আদালতে যখন কোনো প্রশ্ন ওঠে, তখন আদালত যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা অবশ্যই সংস্কারের ব্যাপারে নীতিগতভাবে ঐক্যমত পোষণ করি।'

Comments

The Daily Star  | English

Nahid warns against media intimidation, vows stern action

The government will take stern action against those trying to incite violence or exert undue pressure on the media or newspapers, said Information Adviser Nahid Islam today

1h ago