‘কমপ্লিট শাটডাউন’: রায়েরবাগ-শনিরআখড়ায় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত হাজারো যাত্রী হেঁটে যাচ্ছেন।
যান চলাচল বন্ধ থাকায় হেঁটেই গন্তেব্যে যেতে হচ্ছে। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৮ কিলোমিটারের বেশি সড়কে হাজারো যানবাহন আটকে আছে, ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা।

আজ বুধবার সকাল থেকে রায়েরবাগ ও শনিরআখড়া এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট অবরোধ করে সাইনবোর্ড থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলকারীরা।

তাদের অবরোধের কারণে এই মহাসড়ক ব্যবহার করে যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারছে না। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ এখনো চলছে।

মধ্যরাত থেকে শনিরআখড়া এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় গতরাতের অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে যাত্রাবাড়ী অংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত হাজারো যাত্রী হেঁটে যাচ্ছেন।

আন্দোলকারীরা মহাসড়কের ছয়টি পয়েন্টে যানবাহন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখায় অন্যান্য যান চলাচল করতে পারছে না।

রায়েরবাগ এলাকায় অন্তত ৫০ জন আন্দোলনকারী রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রীবাহী রিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। আটকা পড়া যানবাহনগুলোর মধ্যে অধিকাংশই ট্রাক ও বাস।

পথচারীরা তাদের মোবাইলে ছবি ও ভিডিও করতে চাইলেও বাধা দিচ্ছেন আন্দোলকারীরা।

তবে, মহাসড়কে চোখে পড়েনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি।

কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী যাত্রী জলিল হোসেন বলেন, 'কাচপুর ব্রিজে পৌঁছানোর পর সব যাত্রীকে বাস থেকে নামতে বলা হয়। বাসচালক বলেন, সামনে আন্দোলন চলছে, বাস আর যাবে না।'

তিনি জানান, কাচপুর ব্রিজ থেকে রিকশায় করে যাত্রাবাড়ী পৌঁছেন।

সাভারগামী ট্রাকচালক সেন্টু মিয়া বলেন, 'ভোররাত ২টা থেকে মাতুয়াইলে আটকে আছি। আন্দোলনকারীরা যানবাহন অবরোধ করে রেখেছেন। প্রায় সাত ঘণ্টা হয়ে গেছে একই জায়গায় দাঁড়ানো।'

বেসরকারি চাকরিজীবী দিদার হোসেন বলেন, 'সাইনবোর্ড থেকে যাত্রাবাড়ী আসতে এক ঘণ্টার বেশি হাঁটলাম। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ লাগছে। যাত্রাবাড়ী থেকে কোনো বাস নেই। মোহাম্মদপুরে আমার অফিস। কীভাবে যাবো বুঝতে পারছি না।'

কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের বাসচালক জালাল উদ্দিন বলেন, 'ভোর ৪টা থেকে শনিরআখড়ায় আটকে আছি। সব যাত্রী হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কোনো উপায় নেই। বাস যে ঘুরিয়ে নেবো, সেই উপায়ও নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Six state banks asked to cancel contractual appointments of MDs

The Financial Institutions Division (FID) of the finance ministry has recommended that the boards of directors of six state-run banks cancel the contractual appointment of their managing directors and CEOs..The six state-run banks are Sonali Bank, Janata Bank, Agrani Bank, Rupali Bank, BAS

1h ago