হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সায়েদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমার নির্দেশ

শেখ হাসিনা। ছবি: রয়টার্স

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকি আল ফারাবী এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি (ডিএমপি) প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার মো. বিপ্লব কুমার সরকার।

গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এসএম আমির হামজা শাতিল।

৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এটাই প্রথম মামলা।

মামলার শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেন এবং মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি প্রথম তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

অভিযোগকারীর আইনজীবী মামুন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলায় নাম উল্লেখ না করে উচ্চপদস্থ পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'অভিযোগকারী সায়েদের আত্মীয় নন। তিনি স্বেচ্ছায় মামলা করেছেন।'

শাতিল তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, সায়েদ গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্তের নির্দেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে সাঈদ নিহত হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন।

নিহত সায়েদের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়। তার পরিবার খুবই দরিদ্র হওয়ায় মামলা পরিচালনার সক্ষমতা তাদের নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।

গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় হাসিনাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

হাসিনাসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গতকাল ঢাকার দুটি পৃথক আদালতে হত্যা মামলাসহ আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

5h ago