চট্টগ্রামে নাগরিক সমাবেশ

‘ছাত্র হত্যার দায় সরকারকে নিতে হবে’

ছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামে উদ্বিগ্ন নাগরিকবৃন্দ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: স্টার

কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে চলমান ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে চট্টগ্রামে নাগরিকদের এক সমাবেশে দাবি করা হয়েছে।

তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উসকানির ফল হিসেবে সংঘাত শুরু হয়।

আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে উদ্বিগ্ন নাগরিকবৃন্দ, চট্টগ্রাম—এই ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক সংহতি জানান।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি বলেন, 'সারা দেশে ছাত্র সমাজের গণতান্ত্রিক দাবিতে যেভাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নামানো হয়েছে, এতে প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগ ও তার সরকার জনগণকে প্রতিপক্ষকে হিসেবে দেখছে। সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মূল দিক এটাই। তাই ছাত্র হত্যার দায় সরকারের।'

উদ্বিগ্ন নাগরিকবৃন্দ, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক জান্নাতুল ফেরদাউস পপির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট ভুলন ভৌমিক, অ্যাডভোকেট বিশুময় দেব, অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন কবির আবিদ, অ্যাডভোকেট আমীর আব্বাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম, সংস্কৃতিকর্মী স্বপন মজুমদার, নারীনেত্রী আসমা আকতার, রিপায়ন বড়ুয়া, মাসুদ খান, হাসান মারুফ রুমি, আল কাদেরি জয়, সত্যজিৎ বিশ্বাস, মো. জাহেদ, শাহ ওসমান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে চেরাগী পাহাড় ঘুরে আন্দরকিল্লা এসে শেষ হয়।

Comments

The Daily Star  | English

What's causing the unrest among factory workers?

Kalpona Akter, labour rights activist and president of Bangladesh Garment and Industrial Workers Federation, talks to Monorom Polok of The Daily Star about the recent ready-made garments (RMG) workers’ unrest.

8h ago