ইউরোর সেরা একাদশে ইয়ামাল-রদ্রি-নিকোসহ স্পেনের ৬
ছন্দময় ও আক্রমণাত্মক কৌশলের মিশেলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে স্পেন। তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে এবারের আসরের জন্য নির্বাচিত সেরা একাদশে। ১১ খেলোয়াড়ের ছয়জনই লা রোহাদের।
গত রোববার রাতে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত ইউরোর জমজমাট ফাইনালে ২-১ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ইউরোপের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় এটি তাদের রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা। অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে সাত ম্যাচের সবগুলোই জেতে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
৪-৩-৩ ফরমেশনে সাজানো একাদশের আক্রমণভাগের পুরোটাই তরুণদের দখলে। আসরজুড়ে আলো ছড়ানো স্পেনের লামিন ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসের সঙ্গে আছেন জার্মানির জামাল মুসিয়ালা। ইউরোর সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা ইয়ামাল ১ গোলের সঙ্গে করেন ৪ অ্যাসিস্ট। নিকোর পা থেকে আসে ২ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট। ৩ গোল করা মুসিয়ালা যৌথভাবে জেতেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট।
মাঝমাঠে শিরোপাজয়ীদের একদম জয়জয়কার— তিনজনই স্পেনের। ইউরোর সেরা ফুটবলার হওয়া রদ্রির সঙ্গে আছেন দানি অলমো ও ফাবিয়ান রুইজ। অলমো ৩ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করেন। ২ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট আসে রুইজের পা থেকে।
রক্ষণভাগে স্পেনের একমাত্র প্রতিনিধি মার্ক কুকুরেয়া। তার সঙ্গে আছেন ইংল্যান্ডের কাইল ওয়াকার, ফ্রান্সের উইলিয়াম সালিবা ও সুইজারল্যান্ড মানুয়েল আকাঞ্জি। টানা দ্বিতীয়বারের মতো রানার্সআপ হওয়া ইংল্যান্ডের আর কেউ সুযোগ পাননি সেরা একাদশে। গোলরক্ষক হিসেবে আছেন মাইক মেনিয়ঁ। তাকে নিয়ে ফ্রান্সের প্রতিনিধি দুজন।
ইউরোর সেরা একাদশ:
মাইক মেনিয়ঁ (ফ্রান্স); কাইল ওয়াকার (ইংল্যান্ড), উইলিয়াম সালিবা (ফ্রান্স), মানুয়েল আকাঞ্জি (সুইজারল্যান্ড), মার্ক কুকুরেয়া (স্পেন); রদ্রি (স্পেন), দানি অলমো (স্পেন), ফাবিয়ান রুইজ (স্পেন); লামিন ইয়ামাল (স্পেন), জামাল মুসিয়ালা (জার্মানি), নিকো উইলিয়ামস (স্পেন)।
Comments